একটা জাতি কতটা আবেগপ্রবণ, কতটা আতিথেয়তা পরায়ণ তা নিজের চোখে দেখে গেলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
তাইতো যাওয়ার আগে এমির চোখে বিস্ময়, বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ এ আর্জেন্টাইন বলে গেলেন আবার আসবো ফিরে এ দেশে।
সোমবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। ১১ ঘণ্টার সফর শেষে বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে যান। তার নতুন গন্তব্য ভারতের কলকাতা।
মূলত তার সফরটি শুধু ভারতেই হওয়ার কথা ছিল, মাঝে আর্জেন্টিনা নিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকদের প্রবল উন্মাদনা তাকে এদেশে আসতে আগ্রহী করে তুলে। আলবি সেলেস্তদের প্রতি লাল-সবুজের আবেগের ছোঁয়া খানিকটা নিতেই তার এখানে আসা।
অবশেষে এলেন, যদিও সমর্থকদের উন্মাদনা কাছ থেকে দেখা হলো না। ভালোবাসার স্পর্শও সেভাবে পাওয়া হলো না, তবু যেটুকু হয়েছে এতেই মুগ্ধ, আপ্লুত এমি মার্টিনেজ।
বিদায় নেওয়ার আগে বিশ্বকাপজয়ী এ ফুটবলার আপ্লুত হয়ে বললেন, কিছু সময়ের এই সফরেই বাংলাদেশ তার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। বললেন, ‘বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকব’
এদিকে সংক্ষিপ্ত এ সফরে এমিকে বাংলাদেশে আনার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান নেক্সট ভেঞ্চার্স ও ফান্ডেডনেক্সট কার্যালয়ে শুরুতে সম্মাননা জানানো হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কাপ্তান মাশরাফী বিন মুর্তজা ও অল্প কয়েকজন ফুটবলভক্ত। সেখানে মাশরাফির দুই সন্তানকে নিজের স্বাক্ষর সংবলিত জার্সি ও গ্লাভস উপহার দেন মার্টিনেজ। তখন মাশরাফিও নিজের জাতীয় দলের একটি জার্সি উপহার দেন এমিকে।
এছাড়া আইসিটি প্রতিমন্ত্রী উপহার দেন পাটের তৈরি একটি নৌকা ও বঙ্গবন্ধুর একটি বই। একইসঙ্গে ফান্ডেড নেক্সটের পক্ষ থেকে মার্টিনেজকে ‘বাজপাখির’ একটি মুর্যাল উপহার দেওয়া হয়।
পরে ফান্ডেড নেক্সটের কার্যালয় থেকে বের হয়ে আর্জেন্টিনার এই ফুটবলার যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে নিজের স্বাক্ষর সংবলিত একটি জার্সি উপহার দেন।
এদিন বাংলাদেশ সফরের ৪টি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে মার্টিনেজ। এছাড়া বাংলাদেশে ভক্ত-সমর্থকরা ভালোবেসে তাকে ‘বাজপাখি’ ডাকেন এটিও তার হৃদয় ছুয়ে গেছে। তাই বিদায় বার্তায় বলে গেছেন, বাংলাদেশের বাজপাখি হিসেবে আমি সবসময় জাদুমুগ্ধ হয়ে থাকব।
আরও পড়ুন: প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিদেশি ক্লাবের কোচ হলেন বিদ্যুৎ
ক্রিফোস্পোর্টস/৩জুলাই২৩/এসএ