বিপিএলের দুর্দান্ত ফর্মটাকে নাজমুল হোসেন শান্ত টেনে এনেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে এই ফরম্যাটে কোনো অর্ধ্বশতক ছিল না শান্তর। ইংলিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচে দুই ফিফটিতে শান্ত করেন ১১১ রান।
শেষ ওয়ানডেতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট না হলে তার রান সংখ্যা আরও বাড়তো। এবার শান্তর ব্যাট হেসেছে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও।
চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টার্গেট ছিল ১৫৭। রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩৩ রানে রনি তালুকাদারের (২১) বিদায়ের পর উইকেটে নামেন শান্ত। ২৭ বলেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে মার্ক উডের বলে বোল্ড হয়ে থামে তার রানের চাকা।
১১২ রানে শান্তর বিদায়ের পর আর কোনও উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন বাংলাদেশকে ৬ উইকেটের ইতিহাস গড়া জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন। সাকিব ২৪ বলে ৩৪ ও আফিফ ১৩ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের বিপক্ষে এটিই টাইগারদের প্রথম জয়।
এদিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন শান্ত। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি জয়ের কৃতিত্ব দেন অন্যদেরও, বলেন, ‘তৌহিদ খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। আমি বল দেখে খেলছিলাম, ক্রিকেটীয় শট খেলে যাচ্ছিলাম। দুই উইকেট হারানোর পর একটুও চিন্তিত হইনি।
বোলাররা, বিশেষ করে তাসকিন ও হাসান যেভাবে বোলিং করেছে তা ছিল দুর্দান্ত। রনি তালুকদার ও লিটন দাস ভালো প্ল্যাটফর্ম গড়ে দিয়েছিল, যা টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।