জাতীয় দলের উপেক্ষিত এক ক্রিকেটারের নাম ইমরুল কায়েস। নিজের যোগ্যতা দিয়ে বারবার ফিরেছেন দলে, তবু বরাবরই থেকেছেন পর্দার পেছনে। তবু কোনো ক্ষোভ নেই এই ক্রিকেটারের। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে ফের ফিরতে চান জাতীয় দলে। এছাড়া ক্যারিয়ার শেষ করে ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকতে চান ইমরুল।
উজ্জ্বল সম্ভাবনা ও কঠোর পরিশ্রম করে জাতীয় দলের ওপেনিংয়ে জায়গা পেয়েছিলেন মেহেরপুরের উজলপুর গ্রামের ছেলে ইমরুল কায়েস। প্রতিভার ছাপও রাখেন। তবু কেন যেন উপেক্ষিত হয়েছেন বারবার। একাধিকবার নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে ফিরেছেন দলে।
কিন্তু অজানা কারণে প্রতিবার বাদ পড়েছেন দল থেকে। তবু কারোও প্রতি কোনোরকম ক্ষোভ নেই তার। কঠোর পরিশ্রম করে আবারও ফিরতে চান আগামী বিশ্বকাপের দলে। তবে কী করলে দলে ফিরতে পারবেন তা ভালো করেই জানেন তিনি। বর্তমানে ক্রিকেটেই তার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান।
এদিকে এ বছরই ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। এর আগেই ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ আছে। সেখানেই নিজেকে প্রমাণ করে দলে ফিরতে চান তিনি। অনেক সময় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ব্যর্থতার কারণে নাম এসেছে তার। নিজেকে প্রস্তুতও রেখেছিলেন। কিন্তু সুযোগ পাননি। তবু কোনো আক্ষেপ নেই তার মধ্যে।
সংবাদ মাধ্যমকে ইমরুল বলেন, ‘পরিশ্রম ও নিজের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ক্রিকেটে টিকে থাকতে চাই। দলের প্রয়োজনে ওপেনারদের ব্যবহার করতে না পারলে সহসায় দূর হবেনা ওপেনিং এর সমস্যা। তাই সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি। এখনও জাতীয় দলকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে আমার। আগে জাতীয় দলকে যা দিতে পারিনি, সুযোগ পেলে নিজেকে আরও উজাড় করে দিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করেও দল থেকে বাদ পড়ে কিছুটা হতাশাগ্রস্ত ছিলাম। কিন্তু দর্শকের ভালোবাসায় আর কঠোর পরিশ্রমে আবারও ফিরেছিলাম দলে। এখনও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই দলে ফিরতে চাই।’
অপরদিকে ক্রিকেট ছাড়ার পর কী করবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখন শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবছি। এছাড়া ক্যারিয়ার শেষে ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকতে চাই। তবে আম্পায়ার, কোচিং না ক্রিকেট বোর্ডে তা সময়ই বলে দেবে।’
তবে মেহেরপুরে ইমরুলের নিজের হাতে গড়া একাডেমি থেকে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার মতো ক্রিকেটার তৈরি করতে চান তিনি। যারা এক সময় নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ দলকে। এ লক্ষ্যে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা যোগ করেছেন তার একাডেমিতে।
আরও পড়ুন: কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার, ইনজুরি কতটা গুরুতর?
ক্রিফোস্পোর্টস/২০ফেব্রুয়ারি২৩/এসএ