লুসাইলের আকাশ জুড়ে তখনো শঙ্কার মেঘ ছিল। ফ্রান্সের সামনে শিরোপা ধরে রাখার মিশন অন্যদিকে আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষা অবসানের পালা। এমন আশার দোলাচলে ১২০ মিনিটের ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। এ ম্যাচ ঘিরে ধরেই আবর্তিত হয় মেসির রাজ মুকুট। সেই রাতে কোটি প্রত্যাশার চাপ ঘিরে ধরে ছিল গোলকিপার এমি মার্টিনেজকে।
এমন সব চাপ জয় করে জিতেছেন, জিতিয়েছেন, মেসির স্বপ্ন পূরণের শেষ কাজটিও করে ফেলেছেন মার্টিনেজ। গ্লাভস হাতে যখন দ্বিতীয় পেনাল্টি শুট আটকে দেন তখন স্তব্ধতা নেমে আসে ফারাসিদের শিবিরে। আর্জেন্টিনার বাজপাখির তুপে চুয়ামেনির তিন নম্বর শুটটিও গোল বার মিস করে তখনই ফ্রান্সের আশার প্রদীপ নিভে যায়।
সেই মুহুর্তটির স্বাক্ষী হলেন ফুটবল সম্রাজ্যের কোটি দর্শক। তবে গোলবারের সামনে মার্টিনেজ প্রতিরোধের দেয়ালে কতটা স্নায়ু চাপ সামলেছেন তা শুধু তারই জানার কথা। ম্যাচ শেষে চাপ জয়ের সেই গল্প শুনিয়েছেন তিনি।
বলেন, পুরো পেনাল্টি শুটআউট জুড়ে আমি শান্ত ছিলাম। আরো একবার তারা আমাকে তিনটি গোল দিয়েছে। তবে আমার মনে হয়, এরপর আমি সবকিছু ঠিকঠাক করেছি।
মার্টিনেজ জীবনের গল্প শুনালেন:
গোলকিপার মার্টিনেজ দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে আজ বিশ্বকাপজয়ী হলেন। ফাইনালসহ পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করে জিতে নিয়েছেন গোল্ডেন গ্লাভস।
বললেন, আমি খুবই দরিদ্র জায়গা থেকে উঠে এসেছি। যখন আমি তরুণ, ইংল্যান্ডে চলে যাই। আমি এই জয় আমার পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই।
আরও পড়ুন: প্লেয়ার্স বায়োগ্রাফি: মাশরাফি বিন মর্তুজা
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেছেন লিওনেল মেসিরা। টাইব্রেকারে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ দিয়েছেন বাজপাখি মার্টিনেজ। পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯ডিসেম্বর২২/এসএ