নানা নাটকীয়তার পর প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ-ভারতকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হলো। সাফের বাইলজে (আইন) যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনো নিয়ম নেই। তাহলে কী করে করা হলো যৌথ চ্যাম্পিয়ন? এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালের নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতায় থাকায় ফল বের করতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ১১টি করে শট নেওয়ার পরও ফল না আশায় হঠাৎ টস ভাগ্যে চলে যান শ্রীলঙ্কান ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়াসুরিয়া। টস ভাগ্যে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা হলে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচ কমিশনার টসের ফলাফল বাতিল করেন। প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে এক পর্যায়ে মাঠ ছেড়ে উঠে যান ভারতীয় খেলোয়াড়রা। অবশেষে ভারতকে রাজি করিয়ে দুদলের হাতেই ট্রফি তুলে দিয়ে নাটকীয়তার ইতি টানা হয়। আনোয়ারুল হক হেলাল বলছেন, সাফের স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত।
সাফের সাধারণ সম্পাদক হেলাল বলেন, ‘ম্যাচ কমিশনারের ভুলে এটা হয়েছে। পরবর্তীতে ম্যাচ কমিশনার এবং আমাদের পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তাব দেয়া হয় ভারতকে। (১) ম্যাচ বাতিল করা, (২) যুগ্ম শিরোপা, (৩) আবার সাডেন ডেথ শুরু করা। ভারত কোনো প্রস্তাবেই রাজি ছিল না। এরপর নানা আলোচনার পর যুগ্ম চ্যাম্পিয়নে সম্মত হয়েছে তারা। সাফের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এমন ঘটনায় সাফের দায় দেখছেন না সাফ সম্পাদক। তিনি মনে করেন শ্রীলঙ্কার ম্যাচ কমিশনারের ভুল সিদ্ধান্তে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, ‘এটা ম্যাচ কমিশনারের ভুল। সে রেগুলেশন্স সঠিকভাবে পড়েননি। তিনি এএফসির শীর্ষ ম্যাচ কমিশনার। এরপরও এমন ভুল করেছেন। এখানে সাফের কোনো ভুল নেই, কারণ ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব রেফারি ও কমিশনারের।’
যৌথভাবে বিজয়ী ঘোষণা করায় প্রথমে ভারত চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে তাদের দেশে ফিরবে। এরপর বাংলাদেশকে কিছু দিন বাদে দেওয়া হবে ট্রফি, এমনটাই জানিয়েছেন সাফ সম্পাদক। তিনি বলেন ‘এখন ভারত ট্রফি নিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে কিছু দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। টুর্নামেন্ট সেরা, ফেয়ার প্লে পুরস্কারগুলো পরবর্তীতে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আগে কখনো ঘটেনি এমন ঘটনা
ক্রিফোস্পোর্টস/৯ফেব্রুয়ারি২৪/এফএএস