এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট জুড়ে ছিল ২০২৩ সাল। বছরের শেষে মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শেষ হয়েছে টিম টাইগারদের ২০২৩ সালের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক।
বছর জুড়েই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পার করতে হয়েছে ব্যস্ত সময়৷ টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-তিন সংস্করণ মিলে বাংলাদেশ খেলেছে ৫০ ম্যাচ। যা দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক বছরে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
২০২৪ সালে ক্রিকেটে বাংলাদেশের যত খেলা
২০২৪ সালেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামনে অপেক্ষা করছে রাজ্যের ব্যস্ততা৷ পুরো বছরে কমপক্ষে ৪০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জানুয়ারিতে বিপিএলের কারণে ম্যাচের সংখ্যা আরো ছাড়িয়ে যাবে।
এছাড়া ২০২৪ সালে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে এক বছরে সর্বোচ্চ ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলার রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের।
বিপিএল শেষ না হতেই শ্রীলঙ্কা আসবে বাংলাদেশে। মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে নতুন বছরে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ।
জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়াও এ বছর দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ৯টি ওয়ানডে ও ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
আরও পড়ুন :
> আকাশ চোপড়ার বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন সাকিব
> বাংলাদেশ ক্রিকেটে বছর সেরা যারা
এক নজরে ২০২৪ সালে ক্রিকেটে বাংলাদেশের যত খেলা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)
বিপিএল দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন বছরের যাত্রা৷ আগামী ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পর্দা উঠবে। মধ্যে দিয়ে শুরু হবে ক্রিকেটারদের নতুন বছরের ব্যস্ততা৷ এরপর পহেলা মার্চ ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ক্রিকেটারদের বিপিএল ব্যস্ততা।
বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজ
বিপিএল শেষ হওয়ার আগেই তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল৷ ফেব্রুয়ারি-মার্চে লঙ্কানদের বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা৷
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ
শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের এই সিরিজে থাকবে না কোনো ওয়ানডে ম্যাচ৷ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে থাকবে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই শুরু হবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। সিরিজ শেষে আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৮ দলের মধ্যে থাকায় বাংলাদেশ সরাসরি বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা পেয়েছে৷ এছাড়া আয়োজক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়াও এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে ২০টি দেশ।
আফগানিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লড়াই শেষে জুলাই-আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পাশাপাশি আফগানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজও খেলবে টাইগাররা। আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু না থাকায়, এটি হতে পারে সংযুক্ত আরব-আমিরাতে৷
পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ
আফগানিস্তান সিরিজের পর বাংলাদেশ লড়বে আরেক এশিয়ান প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে৷ আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের মাটিতে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তবে এ সিরিজে নেউ কোনো ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ৷
ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ
পাকিস্তান সফর শেষে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে বাংলাদেশ৷ এ সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলবে টাইগাররা। তবে এ সিরিজে নেই কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশ সিরিজ
ভারত সিরিজ শেষেই অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠের এই সিরিজে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। তবে এ সিরিজে নেই কোনো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ৷
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ সিরিজ
বছরের শেষে অর্থাৎ নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। এ সফরে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পাশাপাশি ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজও খেলবে টাইগাররা৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়েই শেষ বাংলাদেশের ২০২৪ সালের ক্রিকেটীয় মহাযজ্ঞ।
আরও পড়ুন :
> যে ঘটনার কারণে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আইপিএলের দরজা বন্ধ
> মাউন্ট মঙ্গানুই হয়ে ম্যাকলিন পার্ক, বাংলাদেশের প্রথম জয়ের উপাখ্যান
ক্রিফোস্পোর্টস/০১জানুয়ারি২৪/টিএইচ/এসএ