ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতেছে গোটা ভারত। দীর্ঘ দিনের আক্ষেপ ঘুঁচিয়ে নিজেদের কাঙ্খিত বিশ্বকাপ ট্রফি বাগিয়ে নিয়েছে ম্যান ইন ব্লুরা। এবার আলোচনা শুরু হয়েছে দুই বছর পর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর নিয়ে।
২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দশম আসরেও অংশ নেবে এবারের মত ২০ দল। এরই মধ্যে ১২ দল যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছে সেই টুর্নামেন্টের খেলার। ভারত এবং শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপের দশম আসর খেলবে স্বাগতিক হিসেবে। এরপর সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলার আট দল টিকিট পাবে ২০২৬ বিশ্বকাপের।
সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ ও সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়া রয়েছে আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র। এই ৮ দলের বাইরে স্বাগতিক হিসেবে থাকবে শ্রীলঙ্কা যারা এবার সুপার এইট খেলার সুযোগ পায়নি। স্বাগতিক দুই দলসহ এখানে আছে মোট ৯ দল।
এরপর দ্বাদশ অবস্থান পর্যন্ত বাকি দল যাবে র্যাঙ্কিং বিবেচনায়। ৩০ জুন ২০২৪ তারিখের র্যাঙ্কিংয়ের অবস্থা অনুযায়ী উপরোক্ত ৯ দল বাদে যারা এগিয়ে থাকবে, কেবল তারাই জায়গা করে নেবে ২০২৬ বিশ্বকাপের দ্বাদশ দল পর্যন্ত। সেই হিসেবে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে- নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড। এখন পর্যন্ত এই ১২ দল টিকিট কেটেছে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের।
এছাড়া বাকি ৮ দল খেলবে বাছাই পর্বের বাধা পেরিয়ে। নিজ নিজ মহাদেশ অনুযায়ী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলবে দলগুলো। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপ মহাদেশের বাছাইপর্ব উতরে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেবে ২টি করে মোট ৬ দল। বাকি দুই দল আসবে আমেরিকা এবং পূর্ব এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় মহাদেশ থেকে। সব মিলিয়ে হবে মোট ২০ দল।
আরও পড়ুন: আইসিসি প্রকাশিত বিশ্বকাপের সেরা একাদশে আছেন যারা
ক্রিফোস্পোর্টস/১জুলাই২৪/এফএএস