
সময়টা ১৯৯৬ সাল। সর্বশেষ আইসিসির কোনো ইভেন্ট বসেছিল পাকিস্তানের মাটিতে। এরপর প্রায় ৩০ বছর হতে চললো। আবারও সেই বিশ্ব আসরের আয়োজন ক্রিকেট উন্মাদনার দেশে। এতোদিনের অপেক্ষা ফুরোনোয় পাকিস্তানজুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ।
এই তিন দশকে ছেলে-মেয়দের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ মিলিয়ে ২৯ বছরের মধ্যে ৫৬টি বিশ্ব আসর মাঠে গড়িয়েছে। কিন্তু ক্রিকেটের পুরোনো দেশগুলোর একটি হয়েও এতগুলো আইসিসি টুর্নামেন্টের একটিও আয়োজন করতে পারেনি পাকিস্তান।

ট্রফি উন্মোচনের দিন থেকেই শুরু হয়েছে উন্মাদনা।
২০০৮ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কায় বিভিন্ন দল উদ্বেগ জানাতে শুরু করলে একপর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দলই পাঠাবে না জানিয়ে দেয়। টুর্নামেন্ট সরে যায় পাকিস্তান থেকে।
আরও পড়ুন:
» অবশেষে বাংলাদেশ দলকে শুভ কামনা জানালেন মাশরাফি
» চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে পাকিস্তান
পাকিস্তান বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনে অলিখিত নিষেধাজ্ঞায় পড়ে ২০০৯ সালে লাহোরের ঘটনায়। সে বছরের মার্চে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে শ্রীলঙ্কা দলের টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলা হয়, যে হামলায় মারা যান ৬ পুলিশ সদস্য ও ২ পথচারী। এ ঘটনার পর কোনো দলই আর পাকিস্তানে যেতে রাজি হয়নি।

সব বয়সীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ।
ওই হামলার পর ৬ বছর আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্য দেশই আর পাকিস্তান সফরে যায়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন থেকে পাকিস্তানের এই নির্বাসন কাটে ২০১৫ সালের মে মাসে জিম্বাবুয়ের সফরের মধ্য দিয়ে। অন্য দেশগুলো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সফর করতে শুরু করে ২০১৮ সাল থেকে।

স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকা ঘিরে রয়েছে পূর্ণ নিরাপত্তা।
২০২১ সালের শেষ দিকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজক স্বত্ব দেওয়া হয় পিসিবিকে, যা আজ মাঠে গড়াচ্ছে। ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবার আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেলেও সব ম্যাচ পাচ্ছে না পাকিস্তান। অংশগ্রহণকারী ৭ বিদেশি দলের ৬টি পাকিস্তানে যেতে সম্মতি দিলেও ভারত রাজি হয়নি। ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে।

নতুন প্রজন্মের ভক্তরা য়েছে অপেক্ষায়। মেতে উঠেছে উল্লাসে।
যদিও আইসিসির এই আসর ঘিরে পাকিস্তানে সাজ সাজ রব। রাস্তাঘাটে ব্যানার ও পোস্টার। সর্বত্র ক্রিকেটের গান। জার্সি বিক্রির ধুম। নতুন প্রজন্মের ভক্তরা মাঠে ও মাঠের বাইরে উল্লাসে মেতে উঠেছে। এই উৎসব থেকে অবশ্য বঞ্চিতই হচ্ছে ভারত।

লাহোর স্টেডিয়ামে রাখা হয়নি ভারতের পতাকা। কেননা তারা সেখানে খেলতে যায়নি।
আজ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের মধ্যে দিয়ে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সবম আসরের। বাংলাদেশের ম্যাচ আগামীকাল ভারতের বিরুদ্ধে। ম্যাচটি হবে দুবাইয়ের মাঠে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯ফেব্রুয়ারি২৫/এজে
