বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়ে সৌম্য সরকার ফিরে যাওয়ার পর ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এই দুইয়ের জুটিতে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলো বাংলাদেশ। তবে মুহূর্তেই শারজায় পাল্টে গেল দৃশ্যপট। ১২০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আরো ২৩ রান তুলতেই বাকী উইকেট নেই বাংলাদেশের। ফলে ৯২ রানের লজ্জাজনক হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে শান্তরা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাবে ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা।
আফগানিস্তানের দেয়া ২৩৬ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১২ রানেই ফিরে যান তানজিদ তামিম (৩)। তবে তামিমকে হারানোর পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি গড়েন সৌম্য। শুরুর চাপ সামলে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারিতে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন এই ব্যাটার। দলীয় ৬৫ রানের মাথায় বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের কাছে ধরা পড়েন সৌম্য। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৪৫ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। যেখানে ছয়টি নান্দনিক চারের মারও ছিল।
আরও পড়ুন:
» নিউইয়র্কের ফাঁকা রাস্তায় শিশিরের সঙ্গে ঘুরছেন সাকিব
» মালদ্বীপের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড ঘোষণা বাংলাদেশের
সৌম্য ফেরার পর শান্ত ও মিরাজের ব্যাটে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। দুজনে মিলে অর্ধশত রানের জুটি গড়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে শান্ত ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের মাইলফলকের কাছাকাছি গিয়ে আউট হয়ে যাব। মোহাম্মদ নবীর বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৪৭ রানে ফিরে যান এই অধিনায়ক।
শান্ত ফেরার পরই শুরু হয় ব্যাটিং বিপর্যয়। একে একে মিরাজ (২৮), মাহমুদউল্লাহ (২), মুশফিকরা (১) প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামান আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফার। একাই ৬ উইকেট নিয়েছেন এই ১৭ বছর বয়সী স্পিনার। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন অভিজ্ঞ রশিদ খান। এই লেগি নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া নবী ও ওমরজাই ১টি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন।
এর আগে শারজায় বোলিংয়ে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশে। দলীয় ৭১ রানেই আফগানদের ৫ উইকেট তুলে নেন তাসকিন মুস্তাফিজরা। পাঁচ উইকেট হারানোর পর হাশমতউল্লাহ ও নবীর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় আফগানিস্তান। ষষ্ঠ উইকেটে ১২২ বলে ১০৪ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন তারা। পাশাপাশি দুজনেই অর্ধশত রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
দলীয় ১৭৫ রানের মাথায় হাশমতউল্লাহকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন ফিজ। ৯২ বলে ৫২ রানের এক দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ফিরে যান আফগান কাপ্তান। এছাড়া আরেক ব্যাটার নবীকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৭৯ বলে ৮৪ রানের মারমুখী এক ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। শেষদিকে নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতের অপরাজিত ২৭ রানে ভর করে ২৩৫ রানের পুঁজি পায় আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের পক্ষে সমান ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ ও তাসকিন। এছাড়া শরিফুল নিয়েছেন ১ উইকেট।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬নভেম্বর২৪/বিটি