চেন্নাইয়ের উইকেট নিয়ে কতইনা পরিকল্পনা। ঘাস ছাড়া উইকেট দেখে মনের শক্তি আরও বেড়ে গিয়েছিল। স্পিনে ‘দুর্বল’ নিউজিল্যান্ডকে ঘূর্ণি যাদুতে কাবু করার স্বপ্ন এঁকে ছিল টাইগাররা। তবে সেই স্বপ্ন ভেস্তে গেছে—ব্ল্যাক ক্যাপসদের কাছে ৮ উইকেটের বিশাল পরাজয়ে হতাশ হয়ে মাঠ ছেড়েছেন সাকিব-লিটনরা। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এটি টানা দ্বিতীয় হার।
শুক্রবার ভারতের চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
এদিন মাঠে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয় বাংলাদেশ। যা হয়ার তাই হয়েছে—টপ অর্ডারের আসা যাওয়ার মিছিলে ম্যাচের হাল ধরেন মুশফিক। পরে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করে বিপর্যয় ঠেকায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রানে থামে বাংলাদেশের রানের চাকা। ৪৯ বলে ৪১ রান করে নট আউট ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে বাংলাদেশের সম্বল ২৪৫ রান নিয়ে ঠেকানো যায়নি কিউই ব্যাটারদের। টাইগারদের এই অল্প পূঁজি ৮ উইকেট হাতে রেখেই পার হয়ে যায় কেন উইলিয়ামসনরা।
এদিন শুরুতে রচিন রবীন্দ্র ৯ রানে ফিরে গেলেও ডেভন কনওয়ে ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৮০ রানের জুটি গড়েন। পরে কনওয়ে ৪৫ রান করে ফিরে গেলে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ১০৭ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। পরে তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। মূলত তার হাতে বল লাগায় ঝুঁকি না নিয়ে ফিরে যান কেন। এরপর ক্রিজে এসে ঝড় তুলেন ডার্লি মিশেল; ৬৭ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম বলেই লিটন দাসের উইকেট হারায়। গত দুই ম্যাচের মত এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। ভালো শুরু করেও ১৭ বলে ১৬ রান করে আউট হোন তিনি। এরপর মিরাজ ও শান্ত পরপর দুই ওভারে আউট হয়ে গেলে ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মেহেদী মিরাজ উইকেটে সেট হয়েও ৩০ রানে এবং শান্ত ৭ রানে আউট হোন।
এরপর সাকিব-মুশফিক মিলে শুরুর ধাক্কা কিছুটা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাকিব ব্যক্তিগত ৪০ রানে আউট হয়ে গেলে তাদের ৯৬ রানের জুটিটি ভেঙ্গে যায়। টাইগারদের তখন সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান।
তবে মুশফিক নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি। ৭৫ বলে ৬৬ রানে ম্যাট হেনরির বলে বোল্ড হোন বাংলাদেশের এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। ম্যাট হেনরির করা স্লোয়ার ডেলিভারি খানিকটা নিচু হয়ে আসায় ঠেকাতে ব্যর্থ হোন তিনি। ভাগ্যপ্রসূত হলে নিজের ইনিংসটা হয়তো আরও বড় করতে পারতেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। মুশফিক আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশের বড় স্কোরের আশাও মোটামুটি সেখানেই মিলিয়ে যায়। শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের করা ৪১ রানের কল্যাণে ২৪৫তে থামে বাংলাদেশের রানের চাকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২৪৫/৯ (৫০)
টার্গেট: ২৪৬ (৫০)
নিউজিল্যান্ড: ২৪৮/২ (৪১.৫)
ফলাফল: ৮ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের জয়।
আরও পড়ুন: ধর্মশালার পর এবার চেন্নাইয়েও আছেন তামিম
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩অক্টোবর২৩/এমএস/এসএ