বিশ্বকাপে ব্যাটিং অর্ডারে একের পর এক পরিবর্তনে নড়বড়ে অবস্থানে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে এসেও ব্যাটিং পজিশনে একে পর এক পরিবর্তন করে যাচ্ছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের পর মূলপর্বের ম্যাচগুলোতেও এই এক্সপেরিমেন্ট থামেনি। যার খারাপ প্রভাব হয়তো পড়ছে ব্যাটারদের উপর। ব্যাটারদের পারফরমেন্সের দিকে তাকালে তা সহজেই উপলব্ধি করা যায়।
নিউজিল্যান্ডের সাথে হারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরিবর্তনের কারণ জানতে চেয়ে নাজমুল হোসেন শান্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এর কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে কোচ- অধিনায়ক ভালো বলতে পারবেন। আমরা যারা ব্যাটিং করি, তারা সবাই প্রতি ম্যাচের আগে থেকেই জানি কে কখন ব্যাটিং করবে। কিন্তু এর পেছনের কারণ শুধু অধিনায়ক-কোচই পরিষ্কার করে বলতে পারবেন।’
অনেকদিন ধরেই তিন নাম্বার পজিশনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল নাজমুল হোসেন শান্তকে। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে এসে তাকে একদিন তিনে ব্যাটিং করানো হয় তো আরেকদিন চারে।
তাছাড়া পাঁচ নম্বর পজিশনে ভালো খেলতে থাকা তৌহিদ হৃদয়কে হঠাৎ করেই বিশ্বকাপে এসে ৭ নাম্বার পজিশনে নামানো হলো। এতে অনেকটাই ব্যর্থ তিনি।
বিশ্বকাপের মূল পর্বে মিরাজের টপ অর্ডারে ব্যাটিং করাটা প্রস্তুতি ম্যাচের পর থেকেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল। তাকে টপ অর্ডারে প্রমোট করা হলেও তার পজিশন নিয়ে তিনি নিশিত নন।
এভাবেই একের পর এক এক্সপেরিমেন্ট করে যাচ্ছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। যা বিশ্বকাপের মত মঞ্চে এসে মোটেও কাম্য নয়। টাইগারদের এত এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার অনিল কুম্বলে সমালোচনাও করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের তিন নাম্বার পজিশনে ভালো খেলা সাকিব ব্যাটিং করছেন আরও নিচে সাথে মুশফিকও। মিরাজ তার পজিশন সম্পর্কে অবগত নয়। এত এক্সপেরিমেন্টের কারণে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছে ব্যাটাররা।’
এবারে বিশ্বকাপটা ভালোভাবে শুরু করলেও তা ধারাবাহিক করতে পারেনি টাইগাররা। এখন পর্যন্ত খেলা তিনটি ম্যাচের দুটিতেই ব্যর্থ ব্যাটাররা। এর জন্য ব্যাটিং পজিশনের এত পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে যে ইতিহাস বদলাতে চায় পাকিস্তান
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪অক্টোবর২৩/এমটি/এজে