সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লজ্জাজনক হার শেষে পরবর্তী ম্যাচ ভেন্যু কলকাতায় পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। কিন্তু সাকিব দলের সঙ্গে কলকাতায় না গিয়ে ঢাকায় ফিরে এলে শুরু হয় নানা গুঞ্জন।
পরবর্তীতে জানা যায়, ব্যাটিংটা ঠিকঠাকভাবে না হওয়ায় শৈশবের গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিমের থেকে দীক্ষা নিতেই সাকিবের হঠাৎ ঢাকায় আগমন।
গত ২৫ অক্টোবর ঢাকায় এসে দুইটি ব্যাটিং সেশন করেই ২৬ অক্টোবর রাতে কলকাতায় দলের সঙ্গে যোগ দেন বাংলাদেশ দলপতি। আজ (শুক্রবার) ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন পেসার তাসকিন আহমেদ। সেখানে সাকিব ইস্যুতে এক ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সাকিব যে মাঝে দুদিন দলের সঙ্গে ছিলেন না এটা দলের জন্য অস্বস্তিকর কি না।
জবাবে তাসকিন বলেন, তার (সাকিব) অনুপস্থিতি আমাদের ওপর বাজে কোনো প্রভাব ফেলেনি। তিনি ফিরে আসার পর আমরা খুব ভালো সময় কাটিয়েছি, দলের সবাই একসঙ্গে ডিনার করেছি। আর তিনি তো দলের ও নিজের প্রয়োজনেই ব্যাটিং অনুশীলন করতে ঢাকায় গিয়েছিলেন। তিনি ব্যাট হাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারছিলেন না। তিনি ভালো করলে তা তো দলেরই কাজে আসবে। আমাদের বরং এই কাজের জন্য তার প্রশংসা করা উচিত।
তাসকিন এটাও নিশ্চিত করেন যে, তিনি তো আর নিয়ম ভেঙে দল ছেড়ে দেশে যাননি। কোচ, ম্যানেজমেন্ট, বিসিবি থেকে অনুমতি নিয়েই তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। আর ২৫ তারিখ আমাদের দলগত অনুশীলনও ছিল না, আমরা সেদিন বিশ্রামে ছিলাম। এর মধ্যে তিনি বরং ঢাকায় গিয়ে ব্যাটিং সেশন করেছেন। এজন্য তো আমাদের উচিত তার প্রশংসা করা। এটা (সাকিবের ঢাকায় যাওয়া) আমাদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলেনি।
বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যান সাকিবের সময়টা বেশ বাজে যাচ্ছে। ৪ ম্যাচে ৫৬ রান করে মাঠে-মাঠের বাইরে যেমন সমালোচিত হচ্ছেন, তেমনি দলের ব্যাটিং ইউনিটেরও যাচ্ছেতাই অবস্থা। অথচ নিজেদের সচরাচর কন্ডিশনের বাইরে গিয়েও ২০১৯ বিশ্বকাপের গোটা আসরে ব্যক্তিগতভাবে ৬০৬ রান সংগ্রহ করেছিলন সাকিব। নিজের ব্যাটিং দুর্দশা কাটাতেই তাই কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্টের থেকে ছুটি নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন কোচ ফাহিমের সঙ্গে আলাদাভাবে কাজ করতে।
এছাড়াও দলের ব্যাটিং ইউনিটের জন্যও সাকিবের রানে ফেরাটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা মনে করিয়ে দেন তাসকিন। পাশাপাশি বাকি ৪ ম্যাচে ভালো খেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সুখবর বাংলাদেশের, শীর্ষেই আছে আর্জেন্টিনা
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭অক্টোবর২৩/এমএস/এসএ