বিশ্বকাপে খুব বাজে সময় পার করছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে খেলার নূন্যতম আশাটুকুও বাচিয়ে রাখতে পারলো না তারা। নেদারল্যান্ডসের কাছে লজ্জাজনকভাবে হেরে বিশ্বকাপের সেমির স্বপ্ন থেকে সম্পূর্ণরূপে ছিটকে গেল হাতুরুসিংহের শিষ্যরা। বিশ্বকাপের বাকী ম্যাচগুলো খেলে শূন্য হাতেই ফিরতে হবে দেশে।
বিশ্বকাপে বড় বড় দলগুলোর হারের মিছিলে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশও। বাংলাদেশ হয়তো বড় বড় দলগুলোর কাতারে নেই। কিন্তু অভিজ্ঞতা, পরিসংখ্যান ও অন্যান্য দিকে তাকালে বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে নেদারল্যান্ডসের তুলনায় বড় দল। কিন্তু পরিসংখ্যান বা অভিজ্ঞতা দিয়ে সবসময় ম্যাচ জেতা যায় না। যার প্রমাণ রয়েছে এই বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আফগানিস্তানের সাথে ইংল্যান্ডের হার, নেদারল্যান্ডসের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার হার। উভয় দলই সব দিক থেকে এগিয়ে থেকেও হেরেছে।
কিন্তু এসব বিষয়কে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানোর কোন সুযোগ নেই। খেলার মাঠে যারা ভালো করবে তারাই জিতবে। বাংলাদেশ ভালো করতে পারেনি তাই তারা হেরেছে। এই হারে কাউকে দোষারোপ করেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিজেদের সক্ষমতার শতভাগ দিতে না পারায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
নেদারল্যান্ডসের সাথে হারের পর ম্যাচ পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, আসলে কাউকে দোষ দেওয়াটা ঠিক হবে না। আমরা ১৫ জন এসেছিলাম, আমরা যে পারফরম্যান্স করেছি তার থেকেও ভালো আমাদের দল। কিন্তু আমরা তার কিছুই দিতে পারিনি।
আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে সেমির স্বপ্ন অনেকটাই ভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। অন্তত নেদারল্যান্ডসের সাথে জিতে সেই আশাটুকু বাঁচিয়ে রাখতে পারতো টাইগাররা। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ তারা। আর এই বিশ্বকাপকে স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ বলেও মনে করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আরও পড়ুন: বেলিংহামের জোড়া গোলে এল ক্লাসিকোতে জয় পেল রিয়াল মাদ্রিদ
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯অক্টোবর২৩/এমটি