প্রতি বারের ন্যায় এবারও মিরপুর শের-এ-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। সে ম্যাচে শহীদ জুয়েল একাদশের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে শহীদ মুশতাক একাদশ। দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরা হয়েছেন শহীদ জুয়েল একাদশের ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স।
ম্যাচে শুরুতেই ব্যাটিংয়ে নামে শহীদ মুশতাক একাদশ। নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করে তারা। মুশতাক একাদশের হয়ে ২৬ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন ঘরোয়া ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তুষার ইমরান। ছয় চার ও এক ছক্কার এই ইনিংসটি দলের বড় সংগ্রহে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও মেহরাব হোসেন অপি ১৪ বল খেলে ২৩ রান করেন। হাবিবুল বাশার, এহসানুল হক সেজান এবং নিয়ামুর রশিদ রাহুল প্রত্যেকেই সমান ১৪ রান করেন। জাভেদ ওমর বেলিম জুয়েল একাদশের হয়ে ২১ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন।
১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জাভেদের উইকেট হারিয়ে বসে শহীদ জুয়েল একাদশ। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন ডিকেন্স এবং রফিক। ১১ বলে ১৮ করে রফিক আউট হয়ে গেলেও ৪৩ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ডিকেন্স। মিনহাজুল ৮ বলে ৭ রান করেন। ডলার মাহমুদের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। তাতেই ৭ উইকেট হাতে রেখে সহজ জয় তুলে নেয় শহীদ জুয়েল একাদশ। রাজ্জাক শিকার করেন ২ উইকেট।
শহীদ মুশতাক একাদশ:
মেহরাব হোসেন অপি, তুষার ইমরান, হাবিবুল বাশার সুমন, নিয়ামুর রশিদ রাহুল, মোহাম্মদ সেলিম, মোর্শেদ আলী খান সুমন, হাসানুজ্জামান ঝড়ু, শফিউদ্দীন আহমেদ বাবু, আব্দুর রাজ্জাক, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মোহম্মদ আলী, সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, সেলিম শাহেদ, এহসানুল হক সেজান, মিজানুর রহমান বাবুল।
শহীদ জুয়েল একাদশ:
জাভেদ ওমর বেলিম, খালেদ মাসুদ পাইলট, আকরাম খান, আনোয়ার হোসেন (উইকেটরক্ষক), খালেদ মাহমুদ সুজন, মোহাম্মদ রফিক, ফাহিম মুন্তাসির সুমিত, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, সাজেদুল ইসলাম, এ এস এম রকিবুল হাসান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, জিএস হাসান তামিম, মুশফিকুর রহমান বাবু, ডলার মাহমুদ, মোহাম্মদ রফিক, রবিউল ইসলাম।
আরও পড়ুন: রোহিতকে দায়িত্ব থেকে সরাতেই সামাজিক মাধ্যমে ধাক্কা খেল মুম্বাই
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬ডিসেম্বর২৩/এমএস/এমটি