টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি- তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এক বছরে ৫০ ম্যাচ খেলার দ্বারপ্রান্তে আছে বাংলাদেশ। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত এই মাইলফলক গড়তে যাচ্ছে টাইগাররা।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের পর আগামীকাল (বুধবার) থেকেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মাঠে নামছে নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ। ২০ ওভারের সিরিজটির সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারলেই এক পঞ্জিকাবর্ষে প্রথম বারের মত ৫০ ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়বে টিম টাইগার্স। ২০২৩ সালে ইতোমধ্যেই ৪ টি টেস্ট, ৩২ টি ওয়ানডে এবং ১১টি টি-টোয়েন্টিসহ মোট ৪৭ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে এবারই সর্বোচ্চ ৪৭ টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড হয়েছে যা নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ম্যাচ। এর আগেই অবশ্য ২০২১ ও ২০২২ সালে সমান ৪৬ টি ম্যাচ খেলেছিল সাকিব-মুশফিকরা। আর এ বছর তো নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসেই নতুন মাইলফলক যোগ করলো লাল-সবুজ বাহিনী। আর এখন প্রথম বারের মত এক বছরে ৫০ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার দ্বারপ্রান্তে টিম বাংলাদেশ।
এর আগে ২০০৮ সালে ৯ টেস্ট, ২৬ ওয়ানডে এবং ২ টি-টোয়েন্টি মিলে সর্বমোট ৩৭ টি ম্যাচ খেলেছিল টাইগাররা। মাঝে এক বছর পর ২০১০ সালে আবারও ৩৭ টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৪টি ম্যাচে অংশ নেয় টাইগাররা। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের রেকর্ড ভেঙে ২০২১ ও ২০২২ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ খেলার নজির গড়ে লাল-সবুজ বাহিনী। আর এ বছরে এসে তো আগের সব রেকর্ডকেই ছাপিয়ে গেল।
এক পঞ্জিকাবর্ষে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলার বিশ্ব রেকর্ড পরাক্রমশালী ভারতের দখলে। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৭১টি ম্যাচ খেলে এই কীর্তি গড়ে ভারত। অবশ্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৫ ম্যাচ খেলার কীর্তিও ২০২৩ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটির দখলেই। সেটিও তারা করেছে এ বছরেই। তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছে ছয় বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ২০০৯ সালে ৬১টি ম্যাচ খেলেছিল অজিরা।
আরও পড়ুন: ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলা হচ্ছে না এবাদতের
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬ডিসেম্বর২৩/এমএস/এমটি