Connect with us
ক্রিকেট

স্বপ্ন পূরণ হলো না: শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজ ড্র বাংলাদেশের

Crifo BD vs NZL 3rd
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন শরিফুল। ছবি- ক্রিকইনফো

বৃষ্টি আইনে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এতে করে ১-১ সমতায় শেষ হলো তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। জয় দিয়ে শুরু করে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের সিরিজ হারানোর স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে টাইগারদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ করলো নিউজিল্যান্ড।

এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে কেবল ১১০ রানের মাঝে। লড়াই করতে পারেননি কোনো টাইগার ব্যাটার। সাউদী-স্যান্টনারদের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। তবে এরপর জেমি নিশাম এবং মিচেল স্ট্যান্টনারের ৩৮ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দেয় কিউইদের।

ইনিংসের শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরু হয় সৌম্য সরকারের উইকেট দিয়ে। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে সাউদীকে কাভার দিয়ে চার মারেন সৌম্য। এর পরের বলেই লেগ বিফোরে কাঁটা পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েও অ্যাম্পিয়ার্স কলের কারণে বাঁচতে পারেননি সৌম্য। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

বাউন্ডারি দিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি শান্ত। একের পর এক ডট বল খেলে চাপ বাড়ান নিজের ওপর। ১৫ বলে চার বাউন্ডারিতে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। মিলেনের বলে চার মারার চেষ্টা করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন তিনি। পরের ওভারেই এলবিডব্লিউ হয়ে তরুণ পেসার সিয়ার্সের শিকার হন ওপেনার রনি তালুকদার।

তারপরেই শুরু হয় স্যান্টনার ঘূর্ণি; একে একে তুলে নেন টাইগারদের পরের চার উইকেট। তৌহিদ, আফিফ, শামীম ও মাহেদি হাসানের উইকেট শিকার করেন তিনি। নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি কোন টাইগার বেটার। তৌহিদ হৃদয় ১৮ বল টিকে থেকে করেছেন ১৬ রান। আফিফ কাঁটা পড়েন ১৩ বলে ১৪ রান করে। এরপর বাকি ব্যাটসম্যান উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলে ১১০ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

ছোট লক্ষ্য তারা করতে নেমে আক্রমাত্মক শুরুর আভাস দেয় নিউজিল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় ওভারেই কিউইদের প্রথম ধাক্কা দেন স্পিনার মাহেদি হাসান। মাহেদির বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন উইকেট কিপার ব্যাটার টিম শেফার্ড। তবে তিনি ক্রিজ ছেড়ে কিছুটা বেরিয়ে গেলে স্টাম্পিং করতে ভুল করেননি টাইগার কিপার রনি তালুকদার। মাহেদির পরের ওভারেই শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ড্যারিয়াল মিচেল।

এরপর উইকেট শিকারে যোগ দেন শরিফুল। দুর্দান্ত এক বলে গ্লেন পসকে পরাস্ত করেন এই পেস বোলার। এরপর রিশাদ হোসেন এবং মুস্তাফিজুর রহমানের যৌথ প্রচেষ্টায় রান আউট হন মার্ক চাপম্যান। তবে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ওপেনার ফিন অ্যালেন। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে শরিফুল ইসলামের বলে ফিন অ্যালেন আউট হলে নিউজিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৪৯ রানে ৫ উইকেট।

তবে এরপর জেমি নিশাম এবং মিচেল স্ট্যান্টনারের ৩৮ রানের জুটিতে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় ব্ল্যাকক্যাপসরা। ম্যাচের ১৫ তম ওভারে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়। তখন নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৯৫ রানে ৫ উইকেট। ডিএলএস ম্যাথডে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সে সময় ৭৬ রানই যথেষ্ট ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত খেলা মাঠে না গড়ালে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানের জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।

আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড বাড়িয়ে নিলেন রোনালদো

ক্রিফোস্পোর্টস/৩১ডিসেম্বর২৩/এসএফ/এজে

Crifosports announcement
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট