ঘরের মাঠে চলমান টেস্ট সিরিজের মধ্য দিয়েই যে জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে ওয়ার্নার বিদায় নেবেন তা তো পুরনো খবর। সিডনি টেস্টই ডেভিড ওয়ার্নারের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হতে চলেছে। এরই মধ্যে নতুন আরেকটি তথ্য জানালেন বিধ্বংসী এই অজি ওপেনার। ওয়ানডে ক্রিকেটেও আর দেখা যাবে না দু’বারের বিশ্বকাপ জয়ী এই ওপেনারকে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শুধু ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলে যাবেন তিনি।
অবসরের সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানিয়ে দিলেও আরেকটি পথ এখনো খোলা রেখেছেন ওয়ার্নার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যদি চায় তাহলে ২০২৫ সালের আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে রাজি আছেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। আজ (সোমবারে) সিডনিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন ৩৭ বছর বয়সী ওয়ার্নার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি ওয়ানডে থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশের হয়ে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জেতাটা আমার জন্য অনেক বড় একটি অর্জন ছিল। একদিনের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ফলে বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে আমি এখন আরও বেশি সময় দিতে পারবো। আর আমার অবসরের সুযোগে তরুণরাও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিতে পারবে। আমি জানি যে ২০২৫ সালে আমাদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে হবে। এই সময়টায় আমি যদি আমার ফর্ম ধরে রাখতে পারি এবং দলের যদি আমাকে প্রয়োজন হয় তবে দলের হয়ে আবার খেলবো।’
আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ওয়ার্নার চমক দেখিয়ে যদি আর না ফেরেন তাহলে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তার শেষ ওয়ানডে হয়ে থাকবে ২০২৩ বিশ্বকাপের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের ফাইনাল ম্যাচটি। যে ফাইনালে কোটি কোটি স্বাগতিক ভক্ত-সমর্থকদের কাঁদিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ বারের মত শিরোপা উৎসবে মেতেছিল অস্ট্রেলিয়া। আর ওয়ার্নারের সেটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপ জয়।
এই মারকুটে ওপেনারের ওয়ানডেতে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপর থেকেই টানা ১৫ বছরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইনিংস ওপেন করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ওপেনিংয়ে নামা ওয়ার্নার ১৬১ ম্যাচে ২২ সেঞ্চুরি এবং ৩৩ টি হাফ সেঞ্চুরির মাধ্যমে মোট ৬৯৩২ রান করেছেন। ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ৪৫। সাথে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনি ২০১৫ এবং ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন।
আরও পড়ুন: উইজডেনের বর্ষসেরা একাদশে ভারতের ৭, বাংলাদেশের কেউ আছে?
ক্রিফোস্পোর্টস/০১জানুয়ারি২৪/এমএস/এমটি