পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে দুই দফায় কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে প্রোটিয়া কোচ মিকি আর্থারের। তাই ম্যান ইন গ্রিনদের ক্রিকেটকে নিজ হাতের তালুর মতই চেনেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। সম্প্রতি উইজডেনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই কোচ।
২০১৬ সালে বাবর-রিজওয়ানদের দায়িত্ব নেয়ার পর তার কোচিংয়েই ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা বগলদাবা করেছিল পাকিস্তান। তাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মেতেছিল মিকি আর্থারের শিষ্যরা। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার দায়ে চাকরি হারাতে হয় আর্থারকে। ২০২৩ সালে আবারও পাকিস্তান জাতীয় দলের পরিচালকের দায়িত্বে ফেরেন এই প্রোটিয়া।
তবে এ দফায় পরিচালক পদে খুব বেশি দিন টিকতে পারেননি তিনি। ভারত বিশ্বকাপে ব্যর্থতার ফলে আবারও তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় পাকিস্তান। দায়িত্ব হারিয়ে এবার পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে সমালোচনায় মাতলেন আর্থার। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়তই দেখছি পাকিস্তানের ক্রিকেট নিজেদের পায়ে নিজেরাই পেড়েক মারছে। তাদের ভালো প্রতিভা আছে কিন্তু সঠিক কাঠামো এবং ভালো নেতৃত্বের অভাব তাদের। তাদের ধারাবাহিকতার সঙ্গে যে কোনো বিষয়ে স্থায়িত্বেরও দরকার আছে।’
‘২০১৬-২০১৯ সালের সময়টায় আমি নাজামকে ধন্যবাদ দিতে চাই, তখন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করার মত আমাদের কাছে খেলোয়াড় ছিল। ইনজির সাথে আমার খুব ভালো বোঝাপড়া ছিল, আমি আর ইনজি (ইনজামাম উল হক, সাবেক নির্বাচক) মিলে আলোচনা করে দলের সঙ্গে তা ভাগাভাগি করলে তারাও জানতো যে আমাদের একটি স্থায়ী কাঠামো আছে।’
‘আমি আর ইনজি ধারাবাহিকতা আনতে কাজ করে যাচ্ছিলাম। আমি একজন ক্রিকেটারকে বলতে পারতাম যে, তুমি পরবর্তী ১০ ম্যাচে খেলবে। আমাদের বিশ্বাস ছিল যে, সে আমাদের ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করবে। যদিও বিষয়টি মাঝে মধ্যে ঝুঁকির ছিল তবে তারা একটি প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী ছিল। ক্রিকেটাররা নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি বিশ্বাস রাখতো এবং দলের জন্য খেলতো’- যোগ করেন আর্থার।
পিসিবিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কথা বলে আর্থার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের লোকাল ক্রিকেটে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। আমরা একটি উচ্চমানের কাঠামো বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু চেয়ারম্যান পরিবর্তন হওয়ায় সেটিও হারিয়ে গেল যা হতাশাজনক। আমার মনে হয়, পাকিস্তান ক্রিকেট এখনো নিজেদের পায়ে নিজেরাই গুলি করছে। তবে তাদের পরিণতিটা আরও ভালো হতে পারতো।’
আরও পড়ুন: পাক-ভারত দীপাক্ষিক সিরিজ সময়ের দাবি, বলছেন পিসিবি প্রধান
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩জানুয়ারি২৪/এমএস/এমটি