দুর্নীতি দমনবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেন। এই অলরাউন্ডারকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আরো ৬ মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সংস্থা (আইসিসি)।
২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগ খেলতে গিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তির থেকে ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের উপহার নিয়েছিলেন নাসির। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে নাসিরের বিরুদ্বে দুর্নীতির অভিযোগ আনে আইসিসি। পরবর্তীতে নাসিরের স্বীকারোক্তিতে তার বিরুদ্বে ৩ টি অভিযোগ প্রমানিত হয়। এরপর তাকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত ঘোষণা করে ক্রিকেটের এই সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সন্দেহভাজন ব্যক্তির থেকে উপহার নেয়ার পেছনে কোন যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি নাসির। এছাড়া দুর্নীতিবাজ আচরণে জড়িত হওয়ার জন্য যে পদ্ধতি বা আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তা বিস্তারিতভাবে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে প্রকাশ করতে ব্যর্থ হন তিনি। এর ফলে আইসিসির নীতিমালার ২.৪.৩, ২.৪.৪ এবং ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গ করেছেন এই অলরাউন্ডার।
নাসিরের ওপর এই নিষেধাঙ্গা বহাল থাকবে ২০২৫ সালের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। আইসিসির সকল শর্ত মেনে চলতে পারলে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল থেকে পুনরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন এই অলরাউন্ডার।
২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হওয়া নাসির একসময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ থাকলেও সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে গেছেন। দেশের হয়ে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১১৫টি ম্যাচ খেলে ২৬৯৫ রানের পাশাপাশি ৩৯টি উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন: তাইজুল নয় মাসসেরা নির্বাচিত হলেন কামিন্স
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬জানুয়ারি২৪/এমটি