ড্র হয়েছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। করাচিতে প্রথম ইনিংসে ১৭৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ দিন শেষে ২ উইকেটে ৭৭ রান করে পাকিস্তান। ইমাম উল হক ৪৫ ও নোমান আলি ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পঞ্চম ও শেষ দিনের তৃতীয় ওভারে নোমানকে বিদায় করেন নিউজিল্যান্ডের স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল। ৪ রান করেন নোমান।
এদিকে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক বাবর আজম ১৪ রানে আউট হন। ১০০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় পাকিস্তান। পঞ্চম উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন সরফরাজ এবং ইমাম। সফরাজ ৫৩ রানে ফিরলেও, সেঞ্চুরির পথে ছিলেন ইমাম। তবে সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থাকতেই ইমামকে থামান নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ইশ সোধি। ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ২০৬ বলে ৯৬ রান করেন তিনি।
দলীয় ২০৬ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়ে ফিরে যান ইমাম। তখন ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ৩২ রানে এগিয়ে পাকিস্তান। অষ্টম উইকেটে মোহাম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গে ৭১ ও মির হামজাকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৩৪ রান তুলেন সাউদ শাকিল। ওয়াসিম ৪৩ রানে আউট হন।
৮ উইকেটে ৩১১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ইনিংস ঘোষণায় জয়ের জন্য ১৫ ওভারে ১৩৮ রানের টার্গেটে মাঠে নামে নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০৮ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করেন শাকিল। ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হামজা। নিউজিল্যান্ডের সোধি ৮৬ রানে ৬টি উইকেট নেন। ১৮ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত পাঁচ উইকেট নেন কিউই বোলার সোধি।
১৩৮ রানের জবাবে প্রথম ওভারের শেষ বলে পাকিস্তানের স্পিনার আবরার আহমেদের শিকার হয়ে ৩ রানে আউট হয়ে ফিরেন ব্রেসওয়েল। পরের ৩৯ বলে ৫২ রান তুলেন টম লাথাম এবং ডেভন কনওয়ে।
তবে ৭ দশমিক ৩ ওভারের পর আলো স্বল্পতার কারণে ম্যাচটি ড্র’তে শেষ হয়। তখন ১ উইকেটে ৬১ রান তুলে নিউজিল্যান্ড। কনওয়ে ১৮ ও লাথাম ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৪৩৮ এবং নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে ৬১২ রান করেছিল।
এদিকে আগামী ২ জানুয়ারি থেকে একই ভেন্যুতে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট।
আরও পড়ুন : প্লেয়ার্স বায়োগ্রাফি: সাকিব আল হাসান
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০ডিসেম্বর২২/এসএ