বাংলাদেশের ইতিহাস সেরা অধিনায়ক মাশরাফি। জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া লিগ; সর্বত্রই তার জয়জয়কার। বিপিএলের সর্বোচ্চ সংখ্যক শিরোপা উঠেছে তার হাতেই। এবারের নবম আসরে মাশরাফি অধিনায়কয়ত্ব করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের।
শুধু নেতৃত্বই নয়, পারফরম্যান্স দিয়েও দলকে এগিয়ে রেখেছেন মাশরাফি। তার দল আসরের প্রথম চারটি ম্যাচই জিতেছে! কিন্তু কেন কেউ হারাতে পারছে না মাশরাফির দলকে?
এর পেছনে রয়েছে, সিলেটের তৌহিদ হৃদয়ের টানা তিন ম্যাচে বিধ্বংসী ফিফটি। অপর তরুণ জাকির হাসানের ব্যাটেও ঝড়। এই সাফল্যের রহস্য নিয়ে মাশরাফি জানিয়েছেন, “তার টিমে তরুণ ক্রিকেটার যারা আছে, তাদের ওপর চাপ না দিয়ে স্বাধীনতা দেওয়া আছে। তারা যেভাবে চায় নিজেদের মেলে ধরতে পারে।
তিনি বলে, এটাও সত্যি যে ওরা বেশ কিছুদিন ধরে খেলছে। ‘এ’ দলে খেলেছে, এইচপিতে খেলেছে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছে। এই উইকেটে ওরা খেলেছেও অনেক।
মাশরাফি বলেন, ‘ওদেরকে যেটা বলা রয়েছে, উইকেট বুঝে টি-টোয়েন্টি যেভাবে খেলা দরকার, সেভাবে যেন খেলে। ওই স্বাধীনতাটা ওদের শুরু থেকেই দিয়েছি। আমাদের থেকে ওদের ওপর কোনো চাপ নেই। আমাদের দেশে তরুণ ক্রিকেটারদের ওই সুযোগটাই অনেক কম থাকে, সাবলীল যে খেলাটা, সেটাই খেলছে ওরা। আমি সব সময় বলে আসছি, ভালো ক্রিকেটার তৈরিতে ভালো কোচ প্রয়োজন। একটা ক্রিকেটারকে কিভাবে সেট করবে, তার সামর্থ্য কতটুকু, ওটা কোচদেরও বুঝতে হবে।’
টানা তিন ম্যাচে ফিফটি করে দুইবার ম্যাচসেরা হওয়া তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ম্যাশ বলেন, ‘হৃদয়কে আমরা ওর মতোই ছেড়ে দিয়েছি। আগের ম্যাচে দেখুন, উইকেটে গিয়ে প্রথম বলে বড় ছক্কা মেরেছে। আমি ওকে পুরো ব্যাকআপ করেছি। ওই শটে সে যদি আউট হতো, আমরা ওকে কিছুই বলতাম না। এভাবে পাশে থাকা প্রয়োজন। আমাদের দল থেকে, বিশেষ করে আমি যতক্ষণ আছি, ওই সুযোগটা দিয়েছি, সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারে। একটা ক্রিকেটার কিন্তু প্রতিদিন ভালো খেলবে না। আমি নিশ্চিত, হৃদয় যেভাবে খেলছে, নিজের সামর্থ্য সম্পর্কে নিজেও বুঝতে পারছে। এই সুযোগগুলো দেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন : প্লেয়ার্স বায়োগ্রাফি: সাকিব আল হাসান
ক্রিফোস্পোর্টস/১১জানুয়ারি২৩/এসএ