সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এ নিয়ে গত তিন বছরে মোট তৃতীয় বারের মত দেশটির সঙ্গে সিরিজ বাতিল করলো অস্ট্রেলিয়া। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (এসিবি) তাদের হতাশা প্রকাশ করেছে।
এসিবি বিবৃতিতে জানায়, ‘এসিবি অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতি আশা করে তারা তাদের ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি তাদের নীতি চাপিয়ে না দিয়ে ক্রিকেটের উন্নয়নে অবদান রাখবে।’
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এর আগে দ্বিপাক্ষিক সিরিজটি বাতিলের পরিবর্তে বিকল্প সমাধান বের করার জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে প্রস্তাব জানিয়েছিল।
সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড ঘোষণা করে, তারা (মঙ্গলবার) অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা পূর্বের ন্যায় এবারও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আসন্ন সিরিজটিতে অংশগ্রহণ করবে না। কারণ হিসেবে সিএ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে নারী ও মেয়েদের মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আফগানদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি সিরিজটি আইসিসির বার্ষিক ট্যুর আয়োজনের অংশ হওয়ার পরও শেষমেশ অস্ট্রেলিয়া সিরিজটি স্থগিত করলো। দেশটির এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে, আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সেখানে নারীদের মানবাধিকার হ্রাস পাওয়ার বিষয়টিকে। এর আগে ২০২১ সালে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর একই বছরে একমাত্র টেস্ট এবং ২০২৩ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও স্থগিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
এসিবি তাদের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করে, সদ্য স্থগিত করা সিরিজটি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিদের সম্মতিতেই আইসিসি অনুমোদন দিয়েছিল। তখন অস্ট্রেলিয়াও এতে সম্মতি জানিয়েছিল। এসিবি তাদের বিবৃতিতে দৃঢ়ভাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান ও সম্মান এবং বাহ্যিক চাপ ও রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার না করতে আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়াও বিশ্ব জুড়ে ক্রিকেটকে রাজনীতিমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
আরও পড়ুন: ফোনালাপের রহস্য উন্মোচন করলেন তামিম-মিরাজরা
ক্রিফোস্পোর্টস/২০মার্চ২৪/এমএস/এমটি