বর্তমান প্রজন্মের ফুটবলে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো বড় নামদের পাশে নেইমার এক পার্শ্বচরিত্র৷ ইনজুরি নামক অভিশাপে বারংবার দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া নেইমার ক্যারিয়ারে একটানা খুব কমই খেলতে পেরেছেন৷ যখনি নিজের সহজাত ফুটবল খেলতে শুরু করেন, ঠিক তখনি আবার ইনজুরি হানা দেয়। ফলে ফুটবল মাঠ থেকে তাঁকে কয়েক মাস কিংবা বছর পর্যন্ত দূরে থাকতে হয়৷ তবুও ইনজুরিকে এক পাশে রেখে ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত তাঁর ৭২৬ ম্যাচে গোল রয়েছে ৪৩৯টি৷
ব্রাজিলের জার্সি গায়েও গোলের দিক থেকে পেলেকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি৷ ব্রাজিলের জার্সি গায়ে পেলের ৭৭ গোলকে ছাড়িয়ে নেইমারের এখন গোলের সংখ্যা ৭৯টি। কেবল হ্যাটট্রিকে পেলের চেয়ে পিছিয়ে আছেন নেইমার৷ জাতীয় দলের হয়ে পেলের ৭ হ্যাটট্রিকের বিপরীতে নেইমারের রয়েছে ৪ হ্যাটট্রিক৷ অবশ্য এ তালিকায় শুধু নেইমার একা নয়। রোমারিও, জিকোরও রয়েছে ৪টি করে হ্যাটট্রিক।
তবে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে নেইমার অনন্য। ক্যারিয়ারে জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে নেইমারের হ্যাটট্রিকের সংখ্যা ২১টি৷ এর মধ্যে শৈশবের ক্লাব সান্তোসের হয়ে ৬টি ও পরবর্তীতে বার্সেলোনার হয়ে করেছেন ৩টি হ্যাটট্রিক৷
একনজরে জাতীয় দলের জার্সিতে নেইমারের যত হ্যাটট্রিক:
প্রথম হ্যাটট্রিক
২০১২ সালে চীনের বিপক্ষে এক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ব্রাজিল জিতে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। ওই ম্যাচের মধ্য দিয়ে আর্ন্তজাতিক ফুটবলে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন নেইমার। ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় অস্কারের দেওয়া শটে হেড থেকে প্রথম গোল আদায় করেন নেইমার। এরপর ২৫ মিনিটে আবারো অস্কারের অ্যাসিস্টে দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। পরবর্তীতে ম্যাচের ৫৫ মিনিটের মাথায় নিজের তৃতীয় গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক
দুই বছর পর ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের দেখা পান নেইমার৷ জোহান্সবার্গে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫-০ গোলে হারায় ব্রাজিল৷
তৃতীয় হ্যাটট্রিক
একই বছর অর্থ্যাৎ ২০১৪ সালের অক্টোবরে তৃতীয় হ্যাটট্রিক করেন নেইমার। জাপানের বিপক্ষে এক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ৪-০ গোলে জয় পায় ব্রাজিল৷ ব্রাজিলের হয়ে ৪টি গোলই আসে নেইমারে পা থেকে৷
চতুর্থ হ্যাটট্রিক
জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ২০২০ সালে হ্যাটট্রিক করেন নেইমার৷ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পেরুর বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয় পায় ব্রাজিল৷ ওই ম্যাচে নেইমারের পা থেকে আসে তিন গোল৷
আরও পড়ুন: কোপা আমেরিকা: সবচেয়ে বেশি শিরোপা কাদের ঘরে?
ক্রিফোস্পোর্টস/৫এপ্রিল২৪/টিএইচ/এমটি