ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে নেইমার দল-বদলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ফি’তে পিএসজিতে পাড়ি জমিয়েছিল। ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ব্রাজিলিয়ান পোস্টার বয়কে প্যারিসে নিয়ে আসার প্রধান কারণ ছিল তার হাত ধরেই ক্লাব ইতিহাসে প্রথম বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা। কিন্তু ছয় বছরের চেষ্টার পরও ব্যর্থ হতে হয় তাকে। উল্টো ক্লাবে শেষের দিকে ভক্ত-সমর্থকদের দুয়োধ্বনি শুনে ক্লাব ছাড়তে হয় নেইমারকে।
২০১৭ সালে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দানের পর পরবর্তীতে কিলিয়ান এমবাপ্পে মোনাকো থেকে প্যারিসের ক্লাবটিতে যোগ দান করেন। সবশেষ লিও মেসিও পুরনো বন্ধু নেইমারের সঙ্গে পিএসজির হয়ে আবার আক্রমণে জুটি বাঁধেন। কিন্তু এত সব তারকা আসার পরও ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় পিএসজির ব্যর্থতা যেন চলতেই থাকে।
উল্টো মেসি আসার আগেই নেইমার ফরাসি জায়ান্টদের একবার ইউসিএলের ফাইনালেও নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখের কাছে সেবার শূণ্য হাতেই ঘরে ফিরতে হয় নেইমারকে। আর দলে মেসিকে ভেড়ানোর পর ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় পিএসজির হাল তো আরও বেহাল হয়ে পড়ে। ফলে ব্যর্থতার কারণে এক পর্যায়ে সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হয় তাদের। এমনকি মেসি-নেইমারদের বাড়ির সামনে কিছু সমর্থক বিক্ষোভ করেন।
পিএসজিতে নেইমারের শেষ সময়ের কোচ ছিলেন ক্রিস্তোফ গালতিয়ের। ফরাসি গণমাধ্যম লে’কিপের বরাতে ইংলিশ গণমাধ্যম গোল ডট কম জানিয়েছে, গালতিয়ের অধীনে নেইমারকে নাকি তখন মাতালের মত মনে হতো। পিএসজির কয়েকজন প্লেয়ার ও স্টাফ এমনই মন্তব্য করেছেন। এর ফলে মেসি, রামোস, হাকিমির সঙ্গে তর্কে জড়াতে দেখা গেছে তাকে। আর ফ্রেঞ্চ তারকা এমবাপ্পের সঙ্গেও যে তার বিবাদ ছিল এতো অনেকেরই জানা।
খেলার মাঝেই দু’জনকে পেনাল্টি নেওয়া নিয়ে তর্কে জড়াতেও দেখা গেছে। এতে দু’জনকেই কম বেশি সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হয়েছে। পরে তো গেল বছরের আগস্টে মোটা বেতনের প্রস্তাবে সৌদি ক্লাব আল হিলালে যোগ দেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলিয়ান তারকাকে দলে ভেড়াতে মরিয়া ম্যানচেস্টার সিটি
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩এপ্রিল২৪/এমএস/এমটি