আট বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ ছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার সামনে। পিএসজির মাঠে ৩-২ গোলে জিতে এসে সে কাজ অর্ধেক সেরেও রেখেছিল কাতালানরা। কিন্তু ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে সে গুড়ে বালি দিয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি। শেষ ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছেন বার্সা ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহো।
ঘরের মাঠে এভাবে পরাজয় যেন মানতেই পারছেন না মৌসুম শেষে বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া কোচ জাভি হার্নান্দেজ। দলের পরাজয়ে জাভি কাঠগড়ায় তুলেছেন ম্যাচ রেফারিকে। এদিন রেফারির নানা সিদ্ধান্তেই অসন্তোষ জানাতে দেখা যায় বার্সা কোচকে। আরাউহোকে কার্ড দেখানোর পরে রেফারির অন্য এক সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়ে সাইড লাইনে রাখা পানির বোতলে লাথি মারেন জাভি। ফলে তাকেও সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়।
প্রথম লেগে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠে নেমে ম্যাচের ১২ মিনিটেই রাফিনহার গোলে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। কিন্তু খেলার মোড় ঘুরে যায় পিএসজির বারকোলাকে ফাউল করে আরাউহো সরাসরি লাল কার্ড দেখলে। এরপরই ১০ জনের বার্সাকে চেপে ধরে এমবাপ্পে-ডেম্বেলেদের পিএসজি। প্রথমার্ধেই বার্সাকে এক গোল শোধ করেন ব্লাউগ্রানাদের এক সময়ের ঘরের ছেলে উসমান ডেম্বেলে।
দ্বিতীয়ার্ধে ভিতিনিয়ার গোলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ সমতায় ফেরে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা। পরে এমবাপ্পের জোড়া গোলে ৪-৬ ব্যবধানে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন।
এমন হার যেন মানতেই পারছেন না জাভি। ম্যাচ শেষে রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ ঝরে এই বার্সা কিংবদন্তির কণ্ঠে, ‘আজকে রেফারিং খুবই বাজে ছিল। আমি তাকে বলেছি, সে আজ খুব বাজে সিদ্ধান্ত দিয়েছে আমাদের বিপক্ষে। রেফারিং নিয়ে কথা বলা আমার পছন্দ না কিন্তু আজ না বলে পারছি না। যত যা ই বলি ঐ লাল কার্ডটাই আমাদের ম্যাচটা শেষ করে দিয়েছে। ১০ জনের দল হয়ে পড়াটা মোটেই সহজ কিছু না। ঐ সিদ্ধান্তের পর আমাদের খেলাটাই বদলে গেছে।’
দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজির ডি-বক্সে ইলকায় গুন্দোয়ানকে করা মার্কিনিয়োসের চ্যালেঞ্জে পেনাল্টি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাভি। ফলে লাল কার্ড দেখে সাইড লাইন ত্যাগ করতে হয় তাকে। পরে তার জায়গায় দায়িত্ব পালন করা বার্সার গোলকিপিং কোচ হোসে রামন দে লা ফুয়েন্তেকেও লাল কার্ড দেখানো হয়। অবশ্য লাল কার্ড দেখার জন্য নিজের দোষ স্বীকার করে নেন জাভি।
‘কার্ড দেখার আগেও আমরা ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারতাম কিন্তু লেওয়ানডস্কির শট পোস্টের খানিক উপর দিয়ে গেছে। গুন্দোয়ানের শট পোস্টে গিয়ে লেগেছে। কিন্তু ম্যাচটি শেষ হয়ে গিয়েছে রেফারির একটি বাজে সিদ্ধান্তেই। আমরা ১১ বনাম ১১ একটি ম্যাচ দেখতে চেয়েছিলাম, ১০ বনাম ১১ নয়’- যোগ করেন জাভি।
আরও পড়ুন: কাঁদলো অ্যাতলেটিকো, একযুগ পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বুরুশিয়া
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭এপ্রিল২৪/এমএস/বিটি