ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতার প্রভাব যে শুধু দু’দেশের রাজনীতির মাঠেই সীমাবদ্ধ নয় সেটা সবারই জানা। গেল কয়েক বছরে এর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও। আর এখন তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) আয়োজিত বৈশ্বিক আসরেও দুই দলের তাল বাহানা লেগেই থাকে। ফলে বিপাকে পড়তে হয় আইসিসি, এসিসিকে।
রাজনৈতিক বৈরিতার দরুণ দেশ দুইটির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ সর্বশেষ আলোর মুখ দেখেছিল ১ দশকেরও আগে। ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান অংশ না নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল, যদি না পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত খেলতে না আসে। কারণ তার আগে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যেতে অসম্মতি জানিয়েছিল ভারত। তাই সেবার একক আয়োজক হওয়া সত্ত্বেও পরে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা দুই দেশ মিলিয়ে ম্যাচ আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিল এসিসি।
ভবিষ্যতে আর এমন পরিস্থিতির যেন মুখোমুখি হতে না হয়, সে জন্য এই দুই দেশকে এশিয়া কাপের স্বাগতিক হিসেবে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে এসিসি। আগামী মে মাসে ৪ থেকে ৮ বছরের জন্য এশিয়া কাপের মিডিয়া স্বত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। তখনই আয়োজক নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে তারা। গত ৪ আসরের জন্য ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মিডিয়া স্বত্বের চুক্তি করেছিল এসিসি। এবারে তাই আরও বড় অঙ্কের আশা করছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।
এসিসি জানিয়েছে, স্বাগতিকদের তালিকায় বাংলাদেশ, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও শ্রীলঙ্কার নাম রাখা হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজক হতে বিড করলে ভবিষ্যতে এশিয়া কাপের একক আয়োজক দেশ হতে পারবে বাংলাদেশ। তবে বিতর্কের কারণে এবার আয়োজক দেশের তালিকায় ভারত-পাকিস্তানকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, ভাগ্য খুলবে কাদের?
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭এপ্রিল২৪/এমএস/বিটি