সাতটি বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার গত বছর অবসরের সিদ্ধান্ত জানান। এরপর অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি তার বিদায়ের খবর। দীর্ঘদিন এটা আলোচনার বাইরে থাকলেও হঠাৎ সামনে এনেছেন নিজেই। এক বছর পর খেলা ছাড়ার কারণ জানালেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী নারী ক্রিকেটার মেগ ল্যানিং। মাত্র ৩১ বছর বয়সেই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি।
ক্রিকেটজীবনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকার সময় খুব কম খেলোয়াড়ই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এত দিন পরে সেই মেগ ল্যানিং জানালেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার জন্য অনুশীলন নিয়ে তিনি বাড়াবাড়ি করেছে। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস ঠিক ছিল না। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন।
এক সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ল্যানিং বলেছেন, “প্রচুর প্র্যাকটিস করছিলাম। তবে খাওয়া-দাওয়া করছিলাম না। একটা সময় ছিল যখন সপ্তাহে ৮৫-৯০ কিলোমিটার দৌড়তাম। শরীরের মধ্যে অবসাদ চলে এসেছিল। সেটা ক্রমশ বাড়ছিল। কোনও সফরে গিয়ে ক্রিকেট খেলা এবং নিজের পুরো দায়বদ্ধতা দিয়ে খেলা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। গত বছর অ্যাশেজের আগে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলাম।”
ল্যানিং আরও জানিয়েছেন, তার আচরণেও অনেক বদল এসেছিল। হঠাৎ করেই রেগে যাচ্ছিলেন। অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। বলেছেন, “নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে চাইছিলাম। খুব কম লোকই রয়েছে যাদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভাল লাগে। কেমন লাগছে, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতাম না কাউকে। ৬৪ কেজি থেকে ৫৭ কেজি ওজন হয়ে গিয়েছিল আমার। সাংঘাতিক না হলেও চিন্তার তো বটেই। মনঃসংযোগ করতে পারতাম না। কারও সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছা করত না।”
রাতে ঠিক করে ঘুম হত না বলেও জানিয়েছেন ল্যানিং। তার কথায়, “রাতে বিছানায় গিয়ে জেগেই কাটাতাম। একটুও ঘুম আসত না। নিজেকে পাগলের মতো লাগত। নিজের প্রতি আরও রেগে যেতাম। ঘুম না হলে কিছুই করা যায় না।”
ওয়ানডেতে ১৫টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ২টি সেঞ্চুরি রয়েছে ল্যানিংয়ের। ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে ২টি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ৫টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন ল্যানিং।
আরও পড়ুন: কোয়ার্টার ফাইনালে হেরেও অনুশোচনা নেই পেপ গার্দিওলার
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮এপ্রিল২৪/এজে