এক সময়ের বেঞ্চ প্লেয়ার থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের নায়ক। স্প্যানিশ জায়ান্টদের ইউক্রেনীয় গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিনের থেকে বিশ্বের অনেক প্লেয়ারই চাইলে অনুপ্রেরণা নিতেই পারেন। গত রাতে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত সব সেইভ তো দিয়েছেনই। পাশাপাশি পেনাল্টি শ্যুটআউটে দু’টি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলকে নিয়ে গেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে।
অথচ চলতি মৌসুমের আগ পর্যন্ত তিনি রিয়ালের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক ছিলেনই না। অনেক সম্ভাবনাময়ী হওয়া সত্ত্বেও কখনো দলের দ্বিতীয়, তৃতীয় বা রিজার্ভ দলে জায়গা হতো তার। চলতি মৌসুমে ছিলেন দ্বিতীয় পছন্দের গোলরক্ষক। সেটা হওয়াটাও স্বাভাবিকই কারণ থিবো কর্তোয়ার মত কেউ দলে থাকলে দলের ১ নম্বর গোলরক্ষক হওয়াটা যে প্রায় অসম্ভব।
কিন্তু চলতি মৌসুমের শুরুতে কর্তোয়ার ইনজুরিই যেন লুনিনের ভাগ্যে সুপ্রসন্ন হয়ে আসে। কিন্তু ঝুঁকি এড়াতে চেলসি থেকে লোনে আরেক স্প্যানিশ গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগাকে দলে ভেড়ায় লস ব্লাঙ্কোসরা। দু’জনকেই খেলায় সুযোগ দেওয়া হলে শুভ্র সাদাদের গোলবারের নিচে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নেন আন্দ্রে লুনিন।
লিগে ধারাবাহিক পারফর্মের পর লুনিন এবার তার সক্ষমতার জানান দিলেন ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগিতায় এসেও। ম্যাচ শেষে আত্মতৃপ্তি লুনিনের কথাতেই স্পষ্ট, ‘এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ক্যারিয়ারে আগে কখনো এমন ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমার হয়নি। আমি ভীষণ ক্লান্ত। ১২০ মিনিট খেলার পরে পেনাল্টি, ম্যাচের চাপ এবং দলের হয়ে দায়িত্ব পালন করা। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।’
শ্যুটআউটে ম্যান সিটির দুইটি শট রুখে দেন লুনিন। যার মধ্যে সিটির হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে আসা বার্নার্দো সিলভার শট ঠেকানোর পরই মূলত মনোবল ফিরে পায় রিয়াল মাদ্রিদ। এ প্রসঙ্গে এই ইউক্রেনীয় বলেন, ‘কোনো না কোনো শটে আমি এই ঝুঁকিটা (কোনো দিকে ডাইভ না দেওয়া) নিতাম। ভাগ্য সহায় ছিল বলে আমি দ্বিতীয় শটটাই (সিলভার শট) বেছে নিয়েছিলাম। আর সেটিই কাজে লেগে যায়। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ।’
লুনিনের সেইভ দেওয়া অন্য শটটি ছিল রিয়াল থেকেই ম্যান সিটিতে যোগ দেওয়া মিডফিল্ডার মাতেও কোভাচিচের।
আরও পড়ুন: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর টাইব্রেকার, ম্যানসিটিকে বিদায় করে সেমিতে রিয়াল
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮এপ্রিল২৪/এমএস/বিটি