বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে সাকিব আল হাসানের। এরপরই বাংলাদেশিদের মধ্যে আইপিএলে বেশি খেলেছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৬ সালে অভিষেক হলেও এই প্রথম টুর্নামেন্টের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দিয়েছেন টাইগার পেসার। মিনি নিলাম থেকে চেন্নাই দলে ডাক পাওয়ার অনুভূতি ও ধোনি-ব্রাভোদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন দ্য ফিজ।
দলটির মিডিয়া বিভাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশি কাটার মাস্টার। সেখানে তিনি আগে থেকেই সিএসকের হয়ে খেলার স্বপ্নের কথা, প্রথমবারের মত ডাক পাওয়ার অনুভুতি ও চেন্নাই দলের আবহ সম্পর্কে বলেছেন।
সেখানে তিনি বলেন, ‘আইপিএলে আমার অভিষেক ২০১৬ সালে হলেও সব সময় ইচ্ছা ছিল চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার। তাই প্রথম যখন চেন্নাইয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট কল করে আমাকে জানায় তখন উত্তেজনায় আমার রাতে আর ঘুম আসতেছিল না। কিন্তু পরদিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ থাকায় ঘন্টাখানেকের ঘুম দিয়েছিলাম। এরপর থেকেই ফোনে শুধু টেক্সট আসতেছিল। সবাই আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছিল।’
এরপর চেন্নাইয়ের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন সেটা নিয়েও কথা বলেন কাটার মাস্টার, ‘এখানে সবাই অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ ও আন্তরিক। অনেকটা আমরা জাতীয় দলে যেমন থাকি সেরকমই। এখানে তাই শুরু থেকেই আমার মধ্যে অস্বস্তি কাজ করেনি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) ভাইয়ের, ডিজে ব্রাভোর এবং দলের কোচিং স্টাফদের। ডেথ ওভারে বোলিংয়ের সময়ে ফিল্ডিং সেট আপের ছোট ছোট বিষয়ে তারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। সেগুলো আমার ডেথ ওভারে বোলিংয়ের সময় বেশ কাজে লেগেছে।’
ধোনির সঙ্গে কথা হওয়া নিয়ে চেন্নাইয়ের টাইগার পেসার বলেন, ‘উনার সঙ্গে আমার মাঠের বাইরে খুব একটা কথা হয় না। আমরা যা কথা সব মাঠেই বলি, বোলিং নিয়ে আলোচনা করি। কোন বল কিভাবে করলে ভালো হবে মাহি ভাই সেটা আমাকে জানান। এখানে বিশ্বের সব তারকা ক্রিকেটাররা খেলেন ফলে এখানে খেললে আত্নবিশ্বাস অনেক বাড়ে। আইপিএলে সফল হতে পারলে বিশ্বের যে কোন জায়গায় ভালো খেলাটা সহজ হয়ে যায়।’
এছাড়া জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় তিনি আরও বেশি অনুপ্রাণিত হোন বলেও জানান, ‘জাতীয় দলের হয়ে খেলা আমার জন্য সব সময়ই অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তানের মত বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে বেশি পছন্দ করি কারণ সেক্ষেত্রে আরও বেশি হাইলাইট হওয়া যায়। আমি নিজে খুব বেশি খেলা দেখি না কিন্তু খেলতে অনেক পছন্দ করি। বড় বড় ম্যাচে দর্শকের সংখ্যাও অনেক বেশি থাকে। টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভারের খেলা দেখার চেষ্টা করি। এতে ব্যাটাররা কিভাবে খেলে এবং সেই পরিস্থিতিতে কিভাবে বল করতে হবে সেটা শেখার চেষ্টা করি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আইপিএল ছাড়ছেন সিকান্দার
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫এপ্রিল২৪/এমএস/বিটি