অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে চড়ে শিরোপা জয়ের সুবাস পাচ্ছে আবাহনী লিমিটেড। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপকে ১৭১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে তারা৷ পরের তিন ম্যাচে যেকোনো ১টিতে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবে আবাহনী৷
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪৩ রান করে আবাহনী। শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ব্যাট চালাতে থাকেন আবাহনীর দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ৷ দুজনের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৫৭ রান৷
তবে দলের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছেন তিন ও চারে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক বিজয়। দুজনের জুটি থেকে স্কোর বোর্ডে যোগ হয় ১৩০ রান৷ ব্যাট হাতে ৮৪ বলে ১০১ রানের দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন শান্ত৷ ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান আবাহনী অধিনায়ক৷
অন্যদিকে সেঞ্চুরি না পেলেও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৬৮ রান৷ তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান৷
আবাহনীর ৩৪৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে গাজী গ্রুপ। দলীয় ৯৬ রানেই ৫ উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সাব্বির হোসেন শিকদার ও মঈন খান যোগ করেন ৫১ রান। তবে এতে কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
সাব্বির শিকদার বাদে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কেউই অর্ধশতকের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। ৬৮ বলে ৬২ রান করে দলের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন সাব্বির শিকদার। হাবিবুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ৩৮ রান৷
ফলে দলীয় ১৭২ রানেই সমাপ্ত হয় গাজী গ্রুপের ইনিংস। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন দলটির স্পিনার রাকিবুল হাসান। ২টি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব ও সৈকত। অন্যদিকে ১টি করে উইকেট পান পেসার খালেদ আহমেদ ও স্পিনার তানভির ইসলাম।
ফলে ৩ ম্যাচ হাতে রেখেই জয়ের সুবাস পাচ্ছে আবাহনী লিমিটেড। আর ১ ম্যাচ জিতলেই শিরোপা ঘরে তুলবে শান্ত-বিজয়রা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে আপনাদের সমর্থনের প্রতিদান দিতে চাই: সাকিব
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫এপ্রিল২৪/টিএইচ/বিটি