মঙ্গলবার গভীর রাত। ঢাকা শহর ঘুমে মগ্ন। কিন্তু ফ্রান্সের প্যারিসে তখন বিষাদের করুণ কান্না, হতাশার বিষন্ন সুর। অন্যদিকে জার্মানির ডর্টমুন্ডে আনন্দ, উল্লাস আর খুশির ফোয়ারা। আর হবেই বা না কেন? দীর্ঘ ১১ বছরের অপেক্ষা শেষে ইউরোপ ফুটবলের সবচেয়ে সেরা লড়াই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে তাদের শহরের ক্লাব। ১১ বছর পর তাই এমন আনন্দ তাদের।
চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে পিএসজি মুখোমুখি হয়েছিল বুরুশিয়ার। প্রথম লেগে বুরুশিয়ার মাটি থেকে ১-০ গোলে হেরে ফিরেছিল এমবাপ্পেরা। সেই গোল তো শোধ করাই হয়নি। উল্টো আবার ১-০ গোলে হেরে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন ভেঙে গেলো। যদিও এই ম্যাচে পিএসজি ভাগ্যদেবীকে দোষ দিতেই পারেন। কেননা চারটি শট গোলপোস্ট ও বারে লেগে ফিরে এসেছে।
সর্বশেষ ২০১২-১৩ মৌসুমে ফাইনালে উঠেছিল বুরুশিয়া। সেবার নিজ দেশের ক্লাব বায়ার্নের কাছে হেরেছিল বুরুশিয়া। এবারও তাদের সেই সুযোগ আছে। রিয়াল মাদ্রিদকে যদি হারাতে পারে বায়ার্ন। তাহলে এবারও অলজার্মান ফাইনাল।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে বুরুশিয়াকে জিতিয়েছেলেন স্ট্রাইকার নিকলাস ফুলক্রুগ। আর কাল রাতে প্যারিসের পার্ক দ্য প্রিন্সেস মাঠে পিএসজির জালে বল পাঠিয়েছেন সেন্টার ব্যাক ম্যাটস হুমেলস। ম্যাচের ৫০ মিনিটের এই একমাত্র গোলে ফলাফল নির্ধারণ হয়।
তবে হারলেও খারাপ খেলেনি পিএসজি। দলের সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে দলের ত্রাণকর্তা হতে পারেননি। দুই অর্ধ মিলিয়ে মোট চারটি শট গোলপোস্টে লেগে ফেরত আসে। পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটাই হয়তো এমবাপ্পের শেষ ম্যাচ।
ফরাসী লিগ ওয়ানে ১২বার চ্যাম্পিয়ন হলেও কখনো চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়নি পিএসজির। তিনবার সেমিফাইনাল ও একবার ফাইনাল খেলেছে ফরাসী জায়ান্টরা। তাই দুঃখ-বিষাদের রাত কাটাতে হয়েছে প্যারিসবাসীকে।
অন্যদিকে ডর্টমুন্ড শহরে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের ঢেউ। ডর্টমুন্ড কোচ তেরজিচের জন্য এই রাত স্মৃতিময়। তিনি হয়তো কখনোই ভুলবেন না এই রাতের উপলক্ষের কথা। কেননা শৈশবের প্রিয় ক্লাবের কোচ হয়ে ১১ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন। এমন স্বপ্নের রাত জীবনে কজন পেয়েছেন?
আরও পড়ুন: রিয়াল-বায়ার্ন হাইভোল্টেজ ম্যাচসহ আজকের খেলা (৮ মে ২৪)
ক্রিফোস্পোর্টস/৮মে২৪/এজে