আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দা মায়োতে গত বছর দেড় বছরের চুক্তিতে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। অনেক আশা নিয়ে মেসির দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চুক্তির সাত মাসের মাথায় ক্লাব ছেড়ে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন এই তারকা মিডফিল্ডার। সাত মাস দলের থেকে কোন প্রকার বেতন না পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাকে।
সোল দা মায়োর হয়ে ৪ ম্যাচে জামালের নামের পাশে দু’টি গোল রয়েছে। সাত মাস পর দেশে ফিরে পরে আইনজীবীর মাধ্যমে ফিফার কাছে বকেয়া বেতনের আবেদন করেন। অবশেষে জামালের পক্ষেই রায় দিয়েছে ফিফা।
গতকাল ফিফার ফুটবল ট্রাইব্যুনাল থেকে জামালের পক্ষে রায় আসে, সেখানে বাংলাদেশ কাপ্তানকে মোট ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে ফিফা। বাংলাদেশি টাকায় এই অঙ্ক প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ ২৯৮০ টাকা।
ফিফার রায়ে সন্তুষ্ট জামাল গণমাধ্যমকে জানান, ‘অনেক আশা নিয়ে সোল দা মায়োতে খেলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে অনেক দিন খেলার পরও তারা আমায় কোন বেতনই দেয়নি। তাই চুক্তি ছিন্ন করেই দেশে এসে ফিফার কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হই আমি। এই রায়ে আমি অনেক সন্তুষ্ট।’
জামালের প্রতি মাসের বেতন ১২ হাজার ডলার সঙ্গে ৫ শতাংশ ইন্টারেস্ট যোগ হয়ে সাত মাসে মোট অর্থের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৭৮০ ডলার। আর্জেন্টাইন ক্লাবকে ফিফার নির্দেশ, আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে জামালের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ অধিনায়কের বিস্ময়, আর্জেন্টাইন ক্লাবটি তার সঙ্গে এমন আচরণ করবে সেটা তিনি ভাবতেও পারেননি। তবে বিচারের সময়ে ফিফার ট্রাইব্যুনালে ক্লাবটি তাদের পক্ষে কোন ডকুমেন্টসও তুলে ধরতে পারেনি।
অবশ্য রায়ের পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ পাচ্ছে সোল দা মায়ো। আর নির্দেশিত ৪৫ দিনের মধ্যে জামালের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে তিন মাস তাদের খেলোয়াড় নিবন্ধন বন্ধ রাখতে হবে সোল দা মায়োকে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সুনামধন্য আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলা এই তারকা ফুটবলার আর্জেন্টিনার বাইরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মোহামেডানের হয়েও খেলেছেন।
আরও পড়ুন: ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ ‘গোল্ডেন বল’ নিলামে!
ক্রিফোস্পোর্টস/৯মে২৪/এমএস/বিটি