প্রথম ম্যাচেই মোট সংগ্রহ ৪০০ রানের কাছাকাছি। তখনও বাকি ছিল ১৪ বল। অর্থাৎ এবারের বিশ্বকাপে ছড়ি ঘোরাবেন ব্যাটাররা। তা সহজেই অনুমেয়। শনিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।
এদিন প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তোলে কানাডা। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১৪ বল আগে জয় পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৭.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান তুলতেই জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের।
অ্যারন জোন্সের ঝড়ের সঙ্গে আন্দ্রিয়াস গউসের হাফ সেঞ্চুরিতে সহজ জয় পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জোন্স ৪০ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১০টি ছয়ের মার। ৪৬ বলে ৬৫ রান করে আউট হন আন্দ্রিয়াস গউস। এই জুটি থেকে আসে রেকর্ড ১৩১ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কানাডার দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নাভনিত ধালিয়াল প্রথম পাঁচ ওভারে ৪৩ রান তোলেন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে হারমিত সিংয়ের বলে শরীরের ভারসম্য হারিয়ে খেলা শটে নিতিশ কুমারের হাতে ক্যাচ দেন জনসন। পরে প্রাগাত সিং ৭ বলে ৫ রান করে রান আউট হন।
এরপর ধালিয়ালের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে ৩৭ বলে ৬২ রান করেন নিকোলাস কিরটোন। এই জুটি ভাঙেন ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলা কোরি অ্যান্ডারসন। ১৫তম ওভারে নিজের প্রথম বলেই তিনি ফিরিয়ে দেন ওপেনার ধালিয়ালকে। ৪৪ বলে ৬১ রান করেন তিনি। ৩১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রানে ফেরেন কিরটোন। ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৬ বলে ৩২ রান করে দুশো ছোঁয়া ইনিংস এনে দেন শ্রেয়াস মোব্বার।
এদিকে ১৯৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বলেই স্টিভেন টেইলরকে এলবিডব্লিউ করেন কালিম সানা। এরপর আন্দ্রিয়াস গউসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। সপ্তম ওভারে ফেরেন ১৬ বল খেলে ১৬ রান করা যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক।
এরপর উইকেটে এসে গউসকে একপ্রান্তে রেখে রীতিমতো ঝড় তোলেন অ্যারন জোন্স। ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যেটি সবচেয়ে দ্রুততম। জোন্সের হাফ সেঞ্চুরির পর হাত খোলেন গউস। ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
এদিকে ওই ইনিংসে করা জেরেমি গার্ডেনের করা ঘটনাবহুল ১৪তম ওভারে ৩৩ রান পায় যুক্তরাষ্ট্র। এই ওভারের আগে ৪২ বলে ৬৯ রান দরকার ছিল তাদের, পরে সেটি হয়ে যায় ৩৬ বলে ৩৬ রান।
নিখিল দত্তের বলে লং অনের উপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে যখন গউস ফিরছেন, তখন নামের পাশে লেখা ৪৬ বল খেলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ রান। ৫৮ বলে জোন্সের সঙ্গে গউসের ১৩১ রানের জুটির ইতি ঘটে।
কিন্তু আরেক প্রান্তে ঠিকই ঝড় চালিয়ে যান অ্যারন জোন্স। তার ব্যাটে টানা দুই ছক্কাতেই ১৪ বল আগেই ম্যাচ জিতে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ১০ ছক্কার ইনিংসে ৪০ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন জোন্স। ১০ ছক্কা হাঁকানো জোন্স প্রথম ম্যাচেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন।
এই জয়ে এ গ্রুপ থেকে প্রথম পয়েন্ট লিখলো যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: রিয়ালের রয়েল রাজত্ব, বুরুশিয়াকে কাঁদিয়ে জিতলো শিরোপা
ক্রিফোস্পোর্টস/২জুন২৪/এজে