টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হয়েছে তিন দিন হলো। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ম্যাচ মাঠেও গড়িয়েছে, নামিবিয়া-ওমান ম্যাচ তো সুপার ওভার পর্যন্তও গিয়েছিল। এবারের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সহ-আয়োজক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকেরা দুর্দান্ত জয়ও তুলে নিয়েছে। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরু হতে না হতেই মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা ইস্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ আয়োজন।
প্রথম অভিযোগ উঠেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ড্রপ-ইন পিচ নিয়ে। এই পিচ নাকি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য সহায়ক না। বাংলাদেশের মিরপুর শের-এ-বাংলা স্টেডিয়াম নিয়েও এমন অভিযোগ বেশ পুরনো যে মিরপুরের উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ নয়। কারণ মিরপুরের উইকেট স্লো এবং লো হওয়ায় এখানে হাই স্কোরিং ম্যাচ খুবই কম হয়।
এমনই শঙ্কা তৈরি হয়েছে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে ঘিরে। ড্রপ-ইন পিচ বসানো এই মাঠেও হাই স্কোরিং ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলেই মনে করা হচ্ছে। যার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা গেছে, গতকাল (০৩ জুন) শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে। আগে ব্যাট করে ১৯.১ ওভারে ৭৭ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৭৮ রানে পৌঁছতে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬.২ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকেরই মত, একটি নতুন দেশের সামনে ক্রিকেটকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এটি যথাযথ পন্থা হতে পারে না।
আরো পড়ুন : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বড় দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ
এছাড়াও এই ম্যাচের পরে শ্রীলঙ্কা দল সূচি ও লজিস্টিক্যাল অব্যবস্থাপনা নিয়ে আইসিসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এর মাঝেই এবার ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। দ্রাবিড়ের প্রশ্ন তোলাটা যথেষ্ট যুক্তিযুক্তও বটে কারণ প্রথম ম্যাচের আগে টিম ইন্ডিয়াকে অনুশীলন করতে হয়েছে নিউইয়র্কের পাবলিক পার্কে।
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮ টায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বিরাট-রোহিতরা। ম্যাচের আগে তাই ভারতীয় দলকে অনুশীলন করতে হয়েছে নিউইয়র্কের ক্যান্টিয়াগ পার্কে। এমনকি পার্কটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্তও ছিল। বিষয়টি নিয়ে নিজের বিস্ময় আর ঢেকে রাখতে পারেননি ভারতের হেড কোচ।
বিশ্বকাপ শেষে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো দ্রাবিড় বলেন, ‘বিশ্বকাপের আয়োজক হতে গেলে আপনার অবশ্যই বড় স্টেডিয়াম অথবা প্রচলিত ক্রিকেট স্টেডিয়াম থাকতেই হবে। কিন্তু এখানে আমাদের একটি পাবলিক পার্কে অনুশীলন করতে হচ্ছে যা বেশ অদ্ভূত বিষয়। এখানে আমাদের ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা হলো।’
ক্রিফোস্পোর্টস/০৪জুন২৪/এমএস