টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরও একটি লো স্কোরিং ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। যেখানে অন্তিম বল পর্যন্ত ফলাফল নির্ধারণ করা ছিল কষ্টসাধ্য। শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে না পেরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। এমন ক্লোজ ম্যাচ হারার পর আম্পায়ারিং এবং আইসিসির বিতর্কিত নিয়ম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তাওহীদ হৃদয়।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১১৪ রানের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৭ তম ওভারে প্রোটিয়া পেসার ওটেনিল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি খেলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্যাডে লাগে। পরবর্তীতে বল তার প্যাডে লেগে বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করে যায়। তবে বোলারের আবেদনের সাড়া দিয়ে সেটিকে এলবিডব্লিউ ঘোষণা করেন আম্পায়ার।
অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে রিভিউ নেন মাহমুদউল্লাহ। দেখা যায় বলটি মিস করে যাচ্ছিল তার লেগ স্টাম্প। এতে করে আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ডেড বল ঘোষণা করেন। এতে করে বল বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করে গেলেও লেগবাই হিসেবে ৪ রান পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ৪ রানেই পরাজিত হয়েছিল টাইগাররা।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগারদের প্রতিনিধি হিসেবে এসে আম্পায়ারিং নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন তাওহীদ হৃদয়। এছাড়া আইসিসির বিতর্কিত ডেড বলের আইন প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, ‘আইসিসি কী নিয়ম করেছে সেটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ওই সময় ওই চারটা রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য। আম্পায়াররাও মানুষ, ভুল হতেই পারে। তবে আমাদের আরও দুই-একটা ওয়াইড ছিল দেয়নি।’
এমন উইকেটে প্রতিটা রান কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা উল্লেখ করার সময় স্পষ্টভাবেই হতাশা ফুটে উঠছিল হৃদয়ের চোখে মুখে, ‘এখানে এমন ভেন্যুতে খেলা। রান হচ্ছে লো স্কোরিং ম্যাচ। সেই জায়গায় একটা দুটো রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। আমার কাছে মনে হয়, ওই চারটা রান বা দুইটা ওয়াইড ক্লোজ কল ছিল। এমনকি আমার আউটটাও আম্পায়ার্স কল ছিল। এই জায়গাগুলো উন্নতি করতে হবে। আইসিসি যে নিয়ম করেছে, তাতে তো আমাদের হাত নেই।’
ম্যাচের ডেড বলের বিতর্কিত নিয়ম নিয়ে কথা বলেছেন ওয়াকার ইউনুস, সাইমন ডুলের মতো ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। অনেকেই মনে করছেন আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত এই ম্যাচে ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ হেরে যা বললেন শান্ত
ক্রিফোস্পোর্টস/১১জুন২৪/এফএএস