গতকাল নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার এইটের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের চতুর্থ এবং শেষ ম্যাচ খেলতে আগামী সোমবার নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। সেই ম্যাচে নেপালকে হারাতে পারলে কোন হিসেব-নিকেশ ছাড়াই সুপার এইট নিশ্চিত করবে শান্ত বাহিনী। অবশ্য হেরে গেলেও থাকবে সুযোগ। তখন তাকিয়ে থাকতে হবে রানরেট ও নেদারল্যান্ডসের ফলাফলের ওপর।
তবে নেদারল্যান্ডসের তুলনায় অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় ‘ডি’ গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পর বাংলাদেশ সুপার এইটে যাবে, তেমনটাই আশা করছেন সকলে। তবে বাংলাদেশ যদি সুপার এইটে যায়, সেখানে বেশ কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে টাইগারদের। কেননা শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে।
চলমান বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী আইসিসি ইতোমধ্যেই সুপার এইটের গ্রুপ নির্ধারণ করে রেখেছে, যে কোন দল কোন গ্রুপে থাকবে। গ্রুপ পর্বের চার গ্রুপ থেকে সেরা দুটি করে মোট ৮ দল সুপার এইটে যাবে। সেখানে চারটি করে দলকে ভিন্ন দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রথম গ্রুপে থাকবে এ-১, বি-২, সি-১, ডি-২। দ্বিতীয় গ্রুপে স্থান পাবে এ-২, বি-১, সি-২, ডি-১।
মজার ব্যাপার হলো বিশ্বকাপ শুরুর আগেই আইসিসি র্যাংকিংয়ের হিসেবে গ্রুপ পর্বের প্রতিটা গ্রুপ থেকে দুটি করে দল (যেমন: এ-১, এ-২)বাছাই করে রেখেছে। যেখানে বাংলাদেশের ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ডি-১ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ডি-২ হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে নির্বাচন করে রেখেছিল আইসিসি। যদি বাছাই করা কোন দলকে টপকে অন্য কোন দল সেরা দুইয়ে থাকতে পারে, তবে সেই দলটি ছিটকে পড়া দলের স্থানে জায়গা পাবে।
সে হিসেবে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার স্থান অর্থাৎ ডি-২ হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশ যদি দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেছনে ফেলে গ্রুপ সেরা হয়, তবুও দক্ষিণ আফ্রিকার ডি-১ হিসেবেই থাকবে এবং বাংলাদেশ ডি-২। সেই হিসেবে সুপার এইটে বাংলাদেশ পড়বে প্রথম গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে এ-১, বি-২, সি-১, ডি-২।
সুপার এইটে বাংলাদেশের গ্রুপের বাকি তিন দলও নিশ্চিত। যেখানে এ-১ হিসেবে থাকবে ভারত, বি-২ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া এবং সি-১ হিসেবে খেলবে আফগানিস্তান। তাই বলা যায় সুপার এইটে শক্তিশালী প্রতিপক্ষই পাচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে প্রতিটি দল একে অপরের সঙ্গে তিনটি করে ম্যাচ খেলবে। তারপর সেরা দুই দল যাবে সেমিফাইনালে।
আরও পড়ুন: শেবাগের মন্তব্যের জবাব মুখে নয়, ব্যাটে দিলেন সাকিব
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪জুন২৪/এফএএস