চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে কাল ভোর সাড়ে ৬ টায় দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। তবে এই দুই দলের শেষ চারে ওঠার যাত্রার মোটেই এক রকম ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে হারের মুখ দেখেনি। অপরদিকে আফগানদের বেশ লড়াই করেই এতদূর আসতে হয়েছে। তবুও আফগানিস্তানের কোচ জনাথন ট্রটের মতে, কালকের ম্যাচে ফেভারিট আফগানরা।
এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই ইংলিশ কোচ। কারণ হিসেবে বলেছেন, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত উত্তীর্ণ হয়েছে তারা। ফলে তাদের হারানোর কোন ভয় নেই। এটা তাদের জন্য নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। অপরদিকে, অতীতের দুঃস্মৃতির জন্যে বরং দক্ষিণ আফ্রিকাই উল্টো চাপে থাকবে। প্রোটিয়াদের ক্ষেত্রে কথাটা অবশ্য মোটেই অমূলক নয়।
এর আগেও আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলোর বড় বড় ম্যাচে গিয়ে খেই হারানোর অনেক কীর্তি রয়েছে দেশটির। ফলে ক্রিকেটে তাদের দলের সঙ্গে ‘চোকার্স’ তকমাটাও জুড়ে গেছে। বিশেষ করে, ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাস্যকর রান আউটের ফলে হেরে যাওয়া। এছাড়াও ২০০৩ সালে ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা বৃষ্টি আইনের হিসেবে ভুলের জন্য তাদের ‘চোকার্স’ তকমাটা গায়ের সঙ্গে ভালোভাবে সেঁটে গেছে।
আফগানদের ইংলিশ কোচ মনে করেন, এসব কারণেই প্রোটিয়ারা অতিরিক্ত চাপে থাকবে। ম্যাচের প্রসঙ্গে ট্রট বলেন, ‘আমরা এতদূর এসেছি কোন প্রকার ক্ষত ছাড়া। আমাদের এখানে কোন ইতিহাস নেই। আমাদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা হতে চলেছে এটি। আমাদের এখানে অতীতের কোন সাফল্য বা ব্যর্থতা নেই। আর এজন্যই আমরা আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছি। আমরা জানি, আমাদের হারানোর কিছু নেই। তাই ম্যাচে প্রতিপক্ষই বেশি চাপে থাকবে।’
আফগান রূপকথার পর্দার আড়ালের নায়ক ৪৩ বছর বয়সী এই ইংলিশ কোচ। ইংল্যান্ড দলের সাবেক এই ব্যাটার দলটির দায়িত্বে আসেন ২০২২ সালের জুলাই মাসে। এরপর থেকেই রশিদ-নবীদের সঙ্গে বেশ নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলেন ট্রট।
তবে দলের সাফল্যের বড় কৃতিত্ব তিনি খেলোয়াড়দেরই দিতে চাইলেন, ‘দলের ছেলেরা ভীষণ প্রতিভাবান। তাদের শুধু কাঠামো ও পরিপক্বতার অভাব ছিল। তারা ম্যাচ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে পারতো না। আমি কেবল তাদের শূণ্যস্থানগুলো পূরণের চেষ্টা করেছি এই যা।’
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬জুন২৪/এমএস