দুই দিনের বিরতি শেষে কাল (২৯ জুন) মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের শেষ ষোলোর লড়াই। নক আউট স্টেজের প্রথম ম্যাচেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালির মুখোমুখি হবে গ্রুপপর্বে চমক দেখানো সুইজারল্যান্ড। দু’দলই নিজ নিজ গ্রুপের দুইয়ে থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে। তবে ইতালিকে বেশ ঘাম ঝরিয়েই প্রাথমিক পর্ব পার হতে হয়েছে।
নিজেদের গ্রুপে আলবেনিয়াকে হারালেও স্পেনের কাছে হার ও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলার অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে গোল করে রাউন্ড অব সিক্সটিনের টিকিট পেয়েছে ইতালি। অন্য দিকে, হাঙ্গেরিকে হারিয়ে ও স্কটল্যান্ড এবং শক্তিশালী জার্মানির বিপক্ষে ড্র করে অপরাজিত দল হিসেবে নক আউটে এসেছে সুইসরা। কাল শনিবার এই দুই প্রতিবেশী দলের লড়াই দিয়েই শুরু হতে যাচ্ছে ইউরোর নক আউট স্টেজের খেলা।
বার্লিনে অনুষ্ঠেয় ম্যাচটিতে ফেভারিট দলের হিসেব করতে গেলে নিশ্চিতভাবেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরাই এগিয়ে থাকবে। দুই দলের ফুটবলের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও পরিসংখ্যানও ইতালির পক্ষেই সাফাই গাইবে। কেননা ৬০ বারের মুখোমুখি দেখায় ২৯ ম্যাচেই জয়ের হাসি হেসেছে আজ্জুরিরা, বিপরীতে সুইসরা জয় পেয়েছে মাত্র ৭ ম্যাচে। এর মধ্যে আবার ইতালিকে তারা শেষ বার হারিয়েছিল ৩১ বছর আগে ১৯৯৩ সালে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে।
আরো পড়ুন : দক্ষিণ আফ্রিকার ‘আট’ ও রাজা রবার্ট দ্য ব্রুসের ‘সাত’
১-০ ব্যবধানে জয় পাওয়া সেই ম্যাচের পর চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আরও ১১ টি ম্যাচ খেলেছে সুইজারল্যান্ড। ৫ টি হারের সঙ্গে ৬ টি ম্যাচ ড্র করতে পেরেছে তারা। ফলে ৩১ বছর ধরে জয়ের আক্ষেপে পুড়ছে সুইজারল্যান্ড। দু’দলের সবশেষ দুই দেখায়ও জিততে পারেনি গ্রানিত শাকার দল। ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। আর ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে শেষ বারের দেখায় তো ইতালির কাছে ৩-০ গোলে হেরেই গেছে সুইজারল্যান্ড।
তবে আজ্জুরিদের বর্তমান ফর্ম খুব একটা সুখকর যাচ্ছে না। দলে স্কোরারের অভাব ইতোমধ্যে কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা গোল পেয়েছে মোটে ৩ টি। এর মধ্যে শেষ ম্যাচে তো গেল পেয়েছে ম্যাচের একদম শেষ মিনিটে। তাই সুইসদের বিপক্ষে কালকের ম্যাচে হয়তো একাধিক পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজাতে পারেন ইতালিয়ান বস স্পালেত্তি।
রবার্তো মানচিনির ইতালি ২০২০ ইউরোর চ্যাম্পিয়ন হলেও ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গাই করে নিতে পারেনি। আর বড় মঞ্চে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোনোও আজ্জুরিদের কাছে নতুন কিছু নয়। তাই গোল খরা কাটিয়ে চলতি আসরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা কত দূর আগাতে পারে সেটাই এখন দেখার পালা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮জুন২৪/এমএস