কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে আজ ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয়েছিল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এদিন টাইব্রেকারে গোলকিপার এমি মার্টিনেজের নৈপুণ্যে কষ্টার্জিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আলবিসিলেস্তেরা। তবে টাইব্রেকারের শুরুতে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম পেনাল্টি শুটআউট মিস করে দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন মেসি।
যদিও এমিলিয়ানো মার্টিনেজের বিশ্বস্ত গ্লাভস আরও একবার দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনে জয়ের বন্দরে। এর আগে খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে ম্যাচে যোগ করার সময়ে কেভিন রদ্রিগেজের গোল থেকে সমতা ফেরায় ইকুয়েডর। এদিকে চোটের কারণে অস্বস্তিতে থাকায় এই ম্যাচে লিওনেল মেসি খেলবেন কিনা সেটা নিয়ে ছিল শঙ্কা।
অবশ্য ইকুয়েডরের বিপক্ষে শুরু থেকে গোটা ম্যাচেই মাঠে ছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। নিজের শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মেসি বলেন, ‘আমি এখন ঠিক আছি। কোনো অস্বস্তি নেই। আবার চোটে পড়ার বা অস্বস্তিতে ভোগার মানসিক ভয় সব সময়ই ছিল। তবে পেশিতে কোনো সমস্যা নেই। কোচ জিজ্ঞাসা করেছিল খেলতে প্রস্তুত কি না। আমি হ্যাঁ বলেছি।’
টাইব্রেকারে মেসি ‘প্যানেনকা’ শট করার চেষ্টা করেন। যেখানে গোলকিপারকে বিভ্রান্ত করে আলতো শটে সোজাসুজি বল জালে জড়ানো হয়। সেই শট মিস করে মেসি বলেন, ‘খুব বিরক্ত লেগেছে নিজের ওপর। ভেবেছিলাম কিকটা ভালোই হবে। আমি (দুই গোলকিপার) দিবু ও রুইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এই কিকটা অনুশীলন করা হয়নি, শুধু কথা বলে নিয়েছিলাম। আমার চেষ্টা ছিল বলটা আস্তে করে মারতে, কিন্তু উঁচুতে উঠে গেল।’
মেসি পেনাল্টি মিস করায় চাপে পড়ে যায় দল। তবে আরও একবার দলের ত্রাতা হয়ে সামনে আসেন এমি মার্টিনেজ। প্রতিপক্ষের নেওয়া প্রথম দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়ে বনে যান দলের জয়ের নায়ক। এমিকে নিয়ে প্রশংসা করে মেসি বলেন, ‘আমি জানতাম, এ ধরনের সময়ে দিবু দাঁড়িয়ে যাবে। এ ধরনের মুহূর্তই ওর পছন্দ, যেটা তাকে বড় করে তুলেছে। ও গোলবারের নিচে থাকলে অন্য রকম হয়ে ওঠে।’
আরও পড়ুন: পেনাল্টি ঠেকানোতে সফলতার রহস্য জানালেন মার্টিনেজ
ক্রিফোস্পোর্টস/৫জুলাই২৪/এফএএস