অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষেও ফাইনাল ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ১১২ তম মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের দারুন এক গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। আর জয়সূচক সেই গোলেই কলম্বিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড ১৬তম বারের মতো কোপা আমেরিকা জয় করলো আলবিসিলেস্তেরা।
টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই ফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের টানা দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। এদিন ম্যাচের পুরোটা সময় আর্জেন্টিনার উপর প্রভাব বিস্তার করে খেলার চেষ্টা করেছে কলম্বিয়া। বল দখল এবং আক্রমণ সব জায়গায় এগিয়ে থেকেও শেষ সময়ের গোলে পরাজয় বরণ করল তারা। এতে করে টানা ২৮ ম্যাচ পর কলম্বিয়াকে হারের স্বাদ দিয়েছে আর্জেন্টিনা।
এদিন ম্যাচের শুরুতে মানসিকভাবে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। কেননা মাঠে উচ্ছৃঙ্খল কলম্বিয়ান দর্শকদের মাঝে আটকা পড়েছিল একাধিক আর্জেন্টাইন ফুটবলের স্বজনেরা। এদিকে ম্যাচের দ্বিতীয় আর্ধে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন দলের তারকা ফুটবলার লিয়নেল মেসি। তার ওপর কলম্বিয়ার ফুটবলারদের দাপটে অনেকটাই চাপে ছিল আর্জেন্টিনা।
মায়ামের হার্ড রক স্টেডিয়ামে এদিন নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিটে গোল দিতে পারেনি কোন দল। প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই রক্ষণে ব্যস্ত ছিল আর্জেন্টিনা। কিছু আক্রমণের সুযোগ তৈরি করলেও তেমন একটা পরীক্ষা নিতে পারেনি কলম্বিয়ার রক্ষণভাগের। উল্টো বল দখলে এগিয়ে থেকে একাধিক আক্রমণে আলবিসিলেস্তেদের বেশ চাপেই রেখেছিল কলম্বিয়া।
এদিন ম্যাচের ৬৬ তম মিনিটে গোড়ালির চোটে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় লিওনেল মেসিকে। আগে থেকেই ছিল তার চোটের শঙ্কা। তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে উঠলে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের বিপদজনক ট্যাকেলে নতুন করে চোটে পড়েন মেসি। কিছু সময় ব্যথানাশক স্প্রে দিয়ে খেলা চালিয়ে গেলেও একটা সময় মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় এই আর্জেন্টাইন তারকাকে।
সম্পূর্ণ ম্যাচ খেলতে না পেরে দলকে চাপের মুখে রেখে সাইড বেঞ্চে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন লিওনেল মেসি। তবে তার অনুপস্থিতিতে দলের দায়িত্ব ভালোভাবেই সামলে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার হয়ে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে মাঠে নামা ডি মারিয়া। এদিন কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়েই আর্জেন্টাইন জার্সি তুলে রাখলেন তিনি।
তবে ম্যাচে আসল কাজ করে দিয়েছেন বদলি নামা ফুটবলার লাউতারো মার্টিনেজ। তার পা থেকে এসেছে ম্যাচের একমাত্র জয়সূচক গোল, যা এই টুর্নামেন্টে মার্টিনেজের ৫ম। মাঝমাঠ থেকে বল দখলে নিয়ে জিওভানি লো সেলসোর বাড়ানো বল পেয়ে বক্সের কাছে ছুঁটে যান মার্টিনেজ। কোন ভুল না করে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই ফুটবলার। এতেই জয়ের ভিত গড়ে যায় আর্জেন্টিনার।
আরও পড়ুন: ইউরো ২০২৪: টুর্নামেন্ট সেরা ফুটবলার স্পেনের রদ্রি
ক্রিফোস্পোর্টস/১৫জুলাই২৪/এফএএস