ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। ২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হতে গত বছরের অক্টোবরেই ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বিড করেছিল সৌদি। তখন অস্ট্রেলিয়া বিড করলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়ায় একক আয়োজক হিসেবে সৌদি আরবের নাম তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়।
প্রথমবারের মত ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ ৪৮ টি দল নিয়ে আয়োজিত হবে। এর আগে এত সংখ্যক দল নিয়ে কোনো ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজন করেনি কোনো দেশ।
গত পরশু (মঙ্গলবার) মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপের বিড করে। তার একদিন পরই (বুধবার) সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, ১০ বছর পরের সেই বিশ্বকাপটি সৌদির ৫ শহরের ১৫ টি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে। এই ৫ শহর হলো – রিয়াদ, আল খোবার, জেদ্দা, নিওম ও আবহা। এর মধ্যে এক রিয়াদ শহরেই হবে ৮ টি স্টেডিয়াম।
আরো পড়ুন : যে কারণে কান্নায় মাঠ ছাড়লেন ব্রাজিলের ছয় বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী
সৌদি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কিং সালমান স্টেডিয়ামে। রিয়াদে অবস্থিত ৯২ হাজার ধারণ ক্ষমতার এই ভেন্যুটি এখনো নির্মাণাধীন যার কাজ শেষ হবে ২০২৯ সালে। নির্মাণ সম্পন্ন হলে স্টেডিয়ামটিকে সৌদি জাতীয় ফুটবল দলের হোম ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এর আগে ২০২২ বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজন করে গোটা বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের আরেক ধনী দেশ কাতার। ধারণা করা হয়, তুলনামূলক আয়তনে ছোট এই দেশটিকে দেখেই বিশ্বকাপের আয়োজক হতে অনুপ্রেরণা খুঁজে পেয়েছে সৌদি আরব। আয়োজক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ অর্থ ব্যয় করা দেশও কাতার (২২০ বিলিয়ন ডলার)।
এছাড়া বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া প্রসঙ্গে সৌদির অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটির ক্রীড়া মন্ত্রী ও সভাপতি প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন তুর্কি আল-ফয়সাল বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য হবে স্বপ্ন পূরণ। বিশ্বকাপ আয়োজন করে এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের আনুষ্ঠানিক বিড বইয়েও এমটাই আমরা বলেছি।’
ক্রিফোস্পোর্টস/১আগস্ট২৪/এমএস