বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই ক্রিকেটার রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন আগেই। ‘ক্যাপ্টেন ফ্যানটাস্টিক’ হিসেবে খ্যাত সাবেক টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জাতীয় দলের দলপতি থাকাকালীনই ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে ফের সাংসদ নির্বাচিত হন ম্যাশ। তবে এবার মাশরাফির পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানে নাম লেখান সাকিবও।
জাতীয় দলের এই দুই তারকা খেলোয়াড়ই তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন। কিন্তু জাতীয় দলে খেলার পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে নামার কারণে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয় দু’জনকে। এবার ক্রিকেটারদের রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা করলেন জাতীয় দলের খেলোয়াড় নুরুল হাসান সোহান। এছাড়াও তিনি ক্রিকেটারদের খেলার পাশাপাশি রাজনীতি না চালানোর প্রতি আহ্বান জানান।
টানা ১৫ বছরের শাসনামলে আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে কোণঠাসা অবস্থায় পড়েছিল সবশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। শেষ পর্যন্ত তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগই করতে হয়। পরে রাষ্ট্রপতি সংসদও ভেঙে দেন। সেই আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ভূমিকা পালন করা সোহান এবার বললেন, খেলা এবং রাজনীতি একসঙ্গে না চালাতে।
আরো পড়ুন : দায়িত্ব নিয়েই তিন বিষয়ে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
আজ রবিবার (১১ আগস্ট) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই টাইগার উইকেটরক্ষক বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে যারা সক্রিয় থাকেন তাদের উচিত জাতীয় দলের বাইরে থাকা। কেননা রাজনীতি অনেক বিশাল একটি ব্যাপার। একসঙ্গে দুই জায়গায় সময় দেয়াটা অনেক কঠিন। আর কেউ যদি রাজনীতি করতেই চান তাহলে তার উচিত হবে অবসরের পর যোগদান করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ড কারো ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জায়গা নয়। এখানে যোগ্য সংগঠকদের যোগদান করা উচিত। যারা শুধুমাত্র নিজের আখের গুছিয়ে দেশ ছাড়ার প্ল্যান করেন, তাদের ক্রিকেট বোর্ডে না আসাটাই সমীচীন বলে মনে করি।’
অবশ্য নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ মাহমুদ যোগদান করার পর থেকেই পরিবর্তনের সুর বাজতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন ফেডারেশনগুলোয়। ক্রীড়াপ্রেমীদেরও প্রত্যাশা নতুন উপদেষ্টার হাত ধরে ইতিবাচক পরিবর্তনের সাক্ষী হবে বাংলাদেশ। তবে এজন্য আরও খানিকটা সময় চান নতুন সরকারের এই ক্রীড়া উপদেষ্টা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১আগস্ট২৪/এমএস