বিশ্ব ক্রিকেটকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ কঠোর নীতিতে অটল থাকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা- আইসিসি। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের যে কোনো হস্তক্ষেপ নেতিবাচকভাবে নেয় সংস্থাটি— দেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। আইসিসির কঠোর নীতির ফলে এখনো পদ হারাননি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। ছাত্র-জনতার রাষ্ট্র সংস্কার দাবির মুখে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিতর্কিতদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অনেকে নিজে থেকেই সরে যাচ্ছেন। এই ছোঁয়া লেগেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও।
আওয়ামী লীগ সরকার ভেঙে যাওয়ার পর- এমপি-মন্ত্রীত্ব হারিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর থেকেই দলটির শীর্ষ নেতাদের মতো তিনিও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ যানে না তিনি কোথায় আছেন। তবে বহাল তবিয়তে আছে বিসিবি প্রধানের চেয়ার।
আরও পড়ুন :
» বাৎসরিক আয়ে এমবাপ্পের ধারে কাছেও নেই রোহিত-কোহলিরা!
» সুপার কাপ ফাইনালে রাতে মুখোমুখি রিয়াল-আটালান্টা
» অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের কাছে হারল বাংলাদেশ এইচপি দল
এদিকে বোর্ডে এমন অচলাবস্থায় দাবি উঠেছে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপে দেশের ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার খড়গ আসতে পারে। তবে ক্রিকেট বোর্ড সচল রাখতে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে নতুন সভাপতি পাওয়া সম্ভব!
বিসিবির বর্তমান সঙ্কট কাটতে পারে এই দুই পদ্ধতিতে
এক.
বর্তমানে বোর্ডকে উদ্ধারে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন বোর্ডের সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী। এ ক্ষেত্রে সভাপতির অনুপস্থিতি ও দেশের চলমান অবস্থা ব্যাখ্যা করে আইসিসির নিকট আবেদন করতে হবে সিইওকে। পরবর্তীতে নির্বাচিত সভাপতি আসবেন এমন আশ্বাস দিয়ে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠনের অনুমতি চাইতে হবে।
আইসিসির অনুমতি মিললে তখন ক্রিকেট বোর্ডের নতুন কমিটি গঠন করা যাবে। এতে মিলবে নতুন সভাপতিসহ আরও নতুন মুখ।
দুই.
বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই মাস অন্তর পরিচালক সভা অনুষ্ঠিত হয়। টানা তিন সভায় কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার পরিচালক পদ আর থাকে না। পাপনকে সরাতে এই পথে হাটলে আরও অন্তত ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া তখন এতে আইসিসির কোনো বিধি নিষেধ থাকবে না।
এদিকে দেশের মাটিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে দ্বিতীয় পথে হাটতে চাইবে না বাংলাদেশ। যদিও বিসিবির অন্যতম পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ আয়োজনে এখন আর তাদের হাতে কিছু নেই। নিরাপত্তা ইস্যুতে আইসিসিকে সন্তুষ্ট করতে যা করার সরকারকেই করতে হবে।
বিসিবিতে যতবার হয়েছে অন্তবর্তীকালীন কমিটি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে এখন পর্যন্ত দুবার অন্তবর্তীকালীন কমিটি হয়েছে। প্রথমটি ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। দ্বিতীয়বার হয়েছিল ২০১৩ সালে আ হ ম মুস্তফা কামাল ও নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যবর্তী সময়ে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪আগস্ট২৪/এসএ