কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে এ বিষয়ে নিরব ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে অনেকদিন চুপ থাকার পর অবশেষে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন নড়াইল-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দেশের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মাশরাফি। এসময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে না পারাটাকে নিজের ব্যর্থতা বলে স্বীকার করেছেন সাবেক টাইগার কাপ্তান, ‘যদি সবকিছুর এক কথায় উত্তর দেই, তাহলে বলতে হয় আমি আসলে এখানে ব্যর্থ হয়েছি। পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছি। যৌক্তিক কোটা সংস্কার নিয়ে শুরুতে যে আলোচনা হচ্ছিল, সবাই চেয়েছিল আমি কিছু বলি।’
‘আন্দোলনের সময় পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছিল এটা যৌক্তিক কোটা সংস্কার হবে। আমার কাছে তাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু তারপরে যেসব ঘটনাগুলো ঘটেছে। এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যখন সবাই চাচ্ছে আমি এ প্রসঙ্গে কথা বলি। তখন ঐ পরিবেশে এ আমার কাছে মনে হচ্ছিল, এখন আমি যদি এমন স্ট্যাটাস দেই বা কিছু লেখি এবং সেটাকে কেন্দ্র করে যদি আরও বড় ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে সেটা সামাল দেওয়ার সক্ষমতা আমার আছে কি না।’
আরও পড়ুন:
» পাকিস্তানে বিজয়-মুশফিকদের সামনে রানের পাহাড়
» করাচিতে দর্শকশূন্য মাঠে খেলবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান
মাশরাফি আরও বলেন, ‘সবমিলিয়ে ঘটনাগুলো এত দ্রুত ঘটেছে যে আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব হয়নি। তবে আমি চেষ্টা করেছি কিছু করার। আমি শুধু স্ট্যাটাসের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকতে চাইনি, আমি চেয়েছিলাম ছাত্রদের সঙ্গে কথা আলোচনার মাধ্যমে কিছু করা যায় কি না। তবে আমি ব্যর্থ হয়েছি এবং আমি আমার ব্যর্থতা মেনে নিচ্ছি।’
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে মাশরাফির নিরব ভূমিকা তরুণদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছে। এখনও তার ওপর ক্ষেপে আছে দেশের ছাত্র-জনতা।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতারা। অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এবং অনেকে প্রেফতারও হয়েছেন। তবে মাশরাফি জানিয়েছেন তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকাতেই অবস্থান করছেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪আগস্ট২৪/বিটি