মাশরাফি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন আরও অনেক আগে। তারপর রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন এই তারকা ক্রিকেটার। আওয়ামীলীগের প্রতীকে দুই দফা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ক্রিকেটের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও বেশ সফল ছিলেন মাশরাফি। তবে গেল কিছুদিনে বদলে গেছে প্রেক্ষাপট।
মূলত ছাত্রদের যৌক্তিক কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকার পতনের আন্দোলন পর্যন্ত দেশে বহমান ক্রান্তিলগ্নের পুরোটা সময় জুড়েই একদম নিশ্চুপ ছিলেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার মতো সাহসী ব্যক্তিত্বের এমন নীরবতা ক্ষুব্ধ করেছে ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে সকল তরুণ সমাজকে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে সরকার পতনের বেশ কিছুদিন পর এবার মুখ খুললেন মাশরাফি। গতকাল দেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। যেখানে এক পর্যায়ে মাশরাফিকে প্রশ্ন করা হয় তিনি ক্রিকেট বোর্ডে থাকতে চান কিনা এই প্রসঙ্গে। এমন প্রশ্নের জবাবে নিজেকে ক্রিকেট বোর্ডের যোগ্য মনে করেন না বলে জানান মাশরাফি।
মাশরাফি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর খেলা বাদে ক্রিকেট বোর্ডে তেমন একটা যাইনি সাধারণত। নিজের কথা আসলে ভাবা হয়নি। যে অবস্থানে আমি ছিলাম চাইলেই ওপর মহলে গিয়ে বলতে পারতাম যে ক্রিকেটের এই কাজটা করতে চাই কিংবা ওই দায়িত্ব পেতে চাই। কিন্তু নিজের বিষয়ে বলিনি কখনো।’
নিজের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যখন বলার সুযোগ ছিল, তখনই বলিনি। আর এখন যে পরিস্থিতি, আমার কাছে মনে হয়, ক্রিকেট বোর্ডে আসা বা এমন কোনো দায়িত্ব আমার প্রাপ্য নয়। আমি দাবিও করতে পারি না। যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!’
মাশরাফি আরও বলেন, ‘যদি ছোট কোনো প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সুযোগ আসে, সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু বড় পরিসরে বা বোর্ডে গিয়ে বলব না যে কোন কাজ করতে চাই। এটা অনেকটা সুযোগসন্ধানী ব্যাপার হয়ে যাবে। হ্যাঁ, ক্রিকেট আমার রক্তে মিশে আছে। কেউ কখনও সহায়তা চাইলে অবশ্যই পাশে থাকব। কিন্তু বোর্ডে থাকার বাস্তবতা এই মুহূর্তে আমার নেই। আমি সেটা ডিজার্ভও করি না।’
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে ছড়ানো গুঞ্জন প্রসঙ্গে যা বললেন শিশির
ক্রিফোস্পোর্টস/১৫আগস্ট২৪/এফএএস