জুলাই থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে বাংলাদেশে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ; সবমিলিয়ে এখনো দেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। যার প্রভাব পড়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন পরিচালক অনুপস্থিত রয়েছেন। যার ফলে বিসিবির কার্যক্রম ঠিকমতো এগোচ্ছে না।
আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতে বসতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর। তবে টুর্নামেন্টে শুরুর দেড় মাস আগে বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও নিশ্চিত নয়। তাই বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশের বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আইসিসির তালিকায় ছিল ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাত। তবে আইসিসির প্রস্তাব ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই) নাকচ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা বা আরব আমিরাত থাকবে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে।
আরও পড়ুন:
» পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে খেলা হচ্ছে না জয়ের!
» অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রিকেটের বাইরে শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়
তবে এরই মধ্যে বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহ দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে আগ্রহী জিম্বাবুয়ে।
২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে ২০০৫-২০১১ সালে আফ্রিকার এই দেশটিতে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিলে অনেক বছর ধরেই সেখানে আর কোনো মেগা টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়নি। এরপর ২০১৮ এবং সবশেষ ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো দারুণ সফলতার সঙ্গে আয়োজন করেছিল জিম্বাবুয়ে। এবার মূল টুর্নামেন্ট আয়োজনেও আগ্রহী এই দেশটি।
এদিকে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে আইসিসি থেকে আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময় নিয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশের মাটিতে বিশ্বকাপ হবে কিনা তা এরই এরইমাঝে জানা যাবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭আগস্ট২৪/বিটি