বিশ্বব্যাপী ক্রীড়াক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সাফল্য অর্জনের পেছনে থাকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। খেলোয়াড়দেরকে শারিরীক ও মানসিকভাবে গড়ে তুলতে এবং খেলার যথাযোগ্য কৌশল ও বিশ্লেষণ রপ্ত করাসহ সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে থাকে দেশগুলোর স্পোর্টস ইনস্টিটিউট।
অলিম্পিকসহ ক্রীড়া ক্ষেত্রের বৈশ্বিক আসরে যেসব দেশের সাফল্য যত বেশি, তাদের স্পোর্টস ইনস্টিটিউট ও অবকাঠামো তত উন্নত। অলিম্পিকের ইসিহাসে সর্বোচ্চ সাফল্য ছোঁয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট। যা মূলত একজন খেলোয়াড়কে পরিপূর্ণরূপে গড়ে তুলতে সাহায্য করে৷
অলিম্পিক, প্যারা অলিম্পিক ও কমনওয়েলথ গেমস ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়াক্ষেত্র ফুটবল, ক্রিকেট, গলফ ও হকি নিয়েও কাজ করে থাকে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট। ক্রীড়াবিদদের হাই পারফরমেন্স, ক্রীড়াবিদদের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্রীড়াবিদদের উপর্যুক্ত পুষ্টি, ক্রীড়া কৌশল ও নেতৃত্বগুণের উন্নয়নসহ সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে থাকে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট।
আরও পড়ুন :
» নারী বিশ্বকাপ আয়োজনে বাংলাদেশের বাধা কোথায়?
» সালাউদ্দিন ও কিরণের পদত্যাগ চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম
» আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল থেকে বাদ পড়লেন মেসি
স্পোর্টস এবং সাইন্সের মেলবন্ধন ঘটিয়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ৷ ফলে বিশ্বব্যাপী এটির কদর বেড়ে চলছে৷ তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক সব ইন্সটিউট। সম্প্রতি বাংলাদেশও সেই পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছে৷ দক্ষ ও মানসম্পন্ন ক্রীড়াবিদ তৈরি এবং জাতীয় গৌরব অর্জনের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ স্লোগানে, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউট।
যদিও বাংলাদেশে রয়েছে বিকেএসপির মতো ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা কেবল উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তবে ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জনের জন্য নেই কোনো প্রতিষ্ঠান। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অত্যাধুনিক স্পোর্টস ইনস্টিটিউট তৈরি হতে যাচ্ছে৷
এতে করে অলিম্পিক, ক্রিকেট, ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার জন্য তৈরি হবে অসংখ্য মানসম্মত ক্রীড়াবিদ৷ ১৯৮৪ সাল থেকে নিয়মিত অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ৷ কিন্তু ৪০ বছরেও আসেনি কোনো পদক। এমনকি বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও তৈরি হয়নি বিশ্বমানের কোনো অ্যাথলেট৷ ফলে অলিম্পিকের মতো মর্যাদাপূর্ণ আসরে নেই বাংলাদেশের কোনো পদক৷
সেই তুলনায় অবশ্য এশিয়ান গেমসে গত ৪৬ বছরে ১৪ পদক পাওয়া মন্দের ভালো। এ প্রতিযোগিতায় ২০১০ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে ক্রিকেট ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতে বাংলাদেশ, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এটাই বাংলাদেশের একমাত্র সোনা জয়।
বৈশ্বিক আসরে সাফল্য না পাওয়ার মূল কারণ অনুন্নত অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাব। সেই অভাব ও ক্রীড়াক্ষেত্রের আক্ষেপ ঘোচাতে এবার বাংলাদেশে তৈরি করা হচ্ছে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউট। এর ফলেই হয়তো ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য মিলবে ক্রীড়াক্ষেত্রের সর্বোচ্চ সাফল্য৷
ক্রিফোস্পোর্টস/২০আগস্ট২৪/টিএইচ/এসএ