দীর্ঘ এক যুগ পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন নাজমুল হাসান পাপন। তার পদত্যাগের পর অবশ্য খুব বেশি সময় বিসিবি বসের পদ ফাঁকা থাকেনি। বিসিবির ১০ পরিচালকের ভোটের মধ্য দিয়ে বিসিবির ১৫ তম সভাপতি হিসেবে সাবেক ক্রিকেটার ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রথম দিন দায়িত্ব নেয়ার পরই মিরপুরে বিসিবির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নতুন বিসিবি বস। সেখানে নিজের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি ক্রিকেট নিয়ে তার পরিকল্পনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।
শুরুতেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করা নতুন বিসিবি বস জানান, ‘প্লেয়িং ক্যারিয়ার থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমি ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত আছি। আমার ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৮২ সালে, আর এখন ২০২৪ সাল। সিলেকশন কমিটিতে ৩ টার্ম কাজ করার পর আমি এই পর্যায়ে এসেছি।’
‘আমরা সবাই জানি, ক্রিকেটে বাংলাদেশের মত একটা দেশের যে পটেনশিয়াল সে অনুযায়ী আমরা এগোতে পারিনি। কিছু নির্দিষ্ট সেক্টরে আমরা হয়তো যথাযোগ্য উন্নতি করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের উচিত ছিল আরও উন্নতি করা। তবে এটাও বলতে হবে, আমাদের সাফল্যও কিন্তু কম না।’
এছাড়াও ক্রিকেটকে ঢেলে সাজানোর কথা ব্যক্ত করে ফারুক বলেন, ‘আমার সভাপতিত্ব থাকাকালীন আমি বিসিবির যে সিস্টেম সেটাকে রিবিল্ড করতে চাই। আপনারা জানেন, এই গৎবাঁধা সিস্টেমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ আমি এর আগে বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছিলাম। এটাকে রিবিল্ড করাই আমার মেইন প্রায়োরিটি থাকবে।’
‘এছাড়া বিসিবির ডিরেক্টর ও সভাপতি নির্বাচনের যে গঠনতন্ত্র রয়েছে সেটি নিয়েও আমরা কাজ করতে চাই। বোর্ডে তারাই অগ্রাধিকার পাবে যারা ক্রিকেটকে ভালোবেসে এই খেলার জন্য কাজ করতে চায়’ – যোগ করেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি বিসিবির সঙ্গে জড়িত বোর্ড পরিচালক থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থেকেও সহায়তার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও সাংবাদিকদের করা সমালোচনার প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, ‘আপনারা সমালোচনা অবশ্যই করবেন তবে সেটা যেন গঠনমূলক হয়। সমালোচনা গ্রহণ করার মানসিকতা আমার আছে। আপনাদের সমালোচনা করার জায়গা থাকলে সেটাকে আমি স্বাগতম জানাই। তবে আমি আশা করি, দেশের ক্রিকেটে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন কিছু আপনারা করবেন না।’
ক্রিফোস্পোর্টস/২১আগস্ট২৪/এমএস