গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাবেক সাংসদ সাকিব আল হাসানের নামে রাজধানীর আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রুবেল নামের এক পোশাক শ্রমিক। গতকাল মৃত রুবেলের বাবা থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
জাতীয় দলের হয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে এখন পাকিস্তানে আছেন সাকিব। গতকাল যখন তার নামে মামলা দায়ের করা হয় তখন রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিন চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর পাওয়া যায়নি। তবে যদি পরোয়ানা জারি করা হয় তাহলে দেশে ফিরলেই পুলিশ সাকিবকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
অবশ্য ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান সিরিজ শেষে দেশে ফিরবেন না তিনি। সেখান থেকে আবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে উড়াল দিবেন মাগুরা-১ আসনের সাবেক এই সাংসদ। কারন তার স্ত্রীসহ পরিবার যুক্তরাষ্ট্রেই বাস করে বিধায় সাকিবের দেশে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে সাকিব আগাম জামিন নিয়ে জাতীয় দলে খেলা চালিয়ে যাবেন কিনা সে ব্যাপার এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে এই মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংসদের খুব একটা ঝামেলা হওয়ার কথা নয়। কারন আন্দোলন চলাকালীন দেশের বাইরে ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তাই জামিন পেতে খুব একটা বেগ পাওয়ার কথা নয় দেশসেরা এই খেলোয়াড়ের। তখন আর খেলতে কোনো বাঁধাই থাকবে না তার। আর অভিযোগ খারিজ হয়প গেলে তো আর কোনো ঝুঁকিই থাকবে না। তখন মামলাটি নিষ্পত্তি হওয়া আরও সহজতর হয়ে যাবে৷
এখনও পর্যন্ত সাকিবের নামে হওয়া মামলা নিয়ে বিসিবির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। উক্ত মামলায় সাকিব আল হাসানকে ২৮ নম্বর আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।
আদাবরে পোশাক শ্রমিক রুবেলের বাবার করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাকিবসহ মোট ১৫৬ জনের নাম আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাত আসামী হিসেবে আছে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩আগস্ট২৪/এমএস