Connect with us
ক্রিকেট

সাকিব-তামিমের তিক্ততার সম্পর্কে কার হলো জিত?

তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসারের অবস্র নেওয়ার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের পোস্টারবয় সাকিব-আল-হাসান। দেশের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে না পারলে চলমান ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্ট হয়তো সাকিবের শেষ টেস্ট। সাকিবের ঘোষণার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও বন্ধু এবং সতীর্থ তামিম ইকবাল অবসরের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এক সময় ভালো সম্পর্ক থাকলে বেশ অনেক দিন ধরেই তাদের সম্পর্ক দা-কুমড়ার মত।

গত বছর মাঝামাঝি সময়ে তামিম ইকবাল চোটে পড়েন। দীর্ঘদিন ইনজুরি এবং সাবেক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের এক বক্তব্যের কারণে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে আবারও মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ওপেনার। কিন্তু আকস্মিকভাবে তাকে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সমর্থক রবির সঙ্গে ভারতীয় সমর্থকদের এ কেমন আচরণ!

বিশ্বকাপে যাওয়ার পূর্বে সাকিবের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই দুই সতীর্থদের মধ্যে তিক্ততার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সেই সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন তামিমের মনোভাব ‘শিশুসুলভ’। ইনজুরি নিয়ে খেলে সে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতারণা করছে।

সাকিবের এই কথা তামিম ভালোভাবে না নিয়ে মূহুর্তেই প্রতিক্রিয়া স্বরূপ একটি ভিডিও বার্তা দেন। শৃঙ্খলপূর্ণ একটি দল এলোমেলো হয়ে যাই। সেই বিশ্বকাপে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিবও অবশ্য স্বীকার করেছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ বিশ্বকাপ সেটি

যে ইনজুরির কারণে তামিমকে সাকিব প্রতারক বুঝিয়েছিলেন, কিন্তু চোখের সমস্যা সাকিবকে গত এক বছর ধরে ভোগাচ্ছে। চোখের সমস্যা নিয়েই তিনি বিশ্বকাপ এবং পরবর্তী সময়ে খেলছে। ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স ছিল অনেক বাজে।

বর্তমানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী তামিম ইকবাল আছেন টাইমলাইনে। অন্যদিকে সাকিবের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে। ৫০ লাখ টাকা জরিমানা শেয়ার বাজারের কেলেঙ্কারের জন্য। নিরাপত্তার অভাবে দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন এই অলরাউন্ডার। তামিম ইকবালও ধারাভাষ্যকর হিসাবে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। ২২ গজে তাকে দেখা যাবে কি-না তার কোনো নিশ্চয়তা নাই।

দুজনই বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। একজন যদি সেরা অলরাউন্ডার হয় তাহলে অপর জন সেরা ওপেনার। দুজনেরই কাজ ক্রিকেট খেলা। বয়সের ভারে হয়তো দুজনই ২২ গজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। তবে ক্রিকেট প্রেমীরা তাদেরকে আবারও মাঠে দেখতে চায়, সেই আগের বন্ধু সাকিব-তামিমের খুনসুটি উপভোগ করতে চাই।

ক্রিফোস্পোর্টস/২৭সেপ্টেম্বর২৪/এইচআই

Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in ক্রিকেট